আজকাল ওয়েবডেস্ক: হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তামিলনাড়ু। ভরদুপুরে পরপর বিস্ফোরণের বিকট শব্দ, দাউদাউ আগুন। আতঙ্কে ছোটাছুটি স্থানীয়দের। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ট্রাক উল্টেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পরপর সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে আগুন। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আরিয়ালুর জেলায় এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বাহী একটি ট্রাক উল্টে যায়। ট্রাকটিতে ১০০ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। দুর্ঘটনার পরেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে। পরপর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে থাঞ্জাভুর-আরিয়ালুর হাইওয়েতে। সরু রাস্তায় বাঁক নেওয়ার সময়েই উল্টে পড়ে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ট্রাকটি। তিরুচি জেলার বাসিন্দা কনগরাজ নামের এক যুবক ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন। ইন্ডেন গ্যাস ওয়েরহাউজ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আরিয়ালুরের স্থানীয় ডিলারের কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।
পিল্লাইয়ার মন্দিরের কাছে সরু রাস্তায় বাঁক নেওয়ার সময় ট্রাকটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাস্তায় ট্রাকের সামনে একটি কুকুর চলে এসেছিল। কুকু্রটির যাতে ধাক্কা না লাগে, সেটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাক চালক। তড়িঘড়ি ব্রেক কষতেই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সহ ট্রাকটি নর্দমার পাশে উল্টে পড়ে।
আঁটসাঁট করে বেঁধে রাখা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে সংঘর্ষের পরেই পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা গেছে। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
দুর্ঘটনার আঁচ পেয়েই ট্রাক থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান চালক। প্রথম কয়েকটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগেই ট্রাক থেকে নেমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করতে স্থানীয়রাও ছুটে যান। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে। দগ্ধ অবস্থায় ট্রাক চালককে উদ্ধার করে আরিয়ালুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গেছে।
আরিয়ালুর জেলা দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্লরুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন এসে কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় আশেপাশের জমিতে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। ফলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, যে এলাকায় দুর্ঘটনায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে আশেপাশে কোনও ঘরবাড়ি ছিল না। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে। ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি, ফসল নষ্ট, এমনকী একাধিক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারত।
