আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্রমাগত বৃষ্টি হয়ে চলেছে গোটা ত্রিপুরা জুড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভারী বর্ষণে মুহুরী ও লোগাং নদীতে জলের উচ্চতার স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মুহুরীর জলস্তর ২৬.৬০ মিটার। যা ২৩.৬০ মিটারের প্রত্যাশিত বন্যা স্তরকে ইতিমধ্যেই অতিক্রম করেছে। লোগাং নদীর জলস্তর ২৪.৫০ মিটার।






যা ইতিমধ্যেই বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজস্ব দপ্তরের সচিব এবং মৌসম বিভাগের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের দরুণ রাজ্যের দক্ষিণ জেলার বর্তমান পরিস্থিতির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।








তিনি জানান, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন পুরোপুরি প্রস্তুত। সোশাল মিডিয়ায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইএমডি রিপোর্ট অনুসারে, বিলোনিয়ায় সর্বোচ্চ ২১৪.৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সাব্রুম ও বগাফাতে যথাক্রমে ১৫২.০০ মিমি এবং ৮০.০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে, মুহুরী নদীর জল নিরাপদ সীমা অতিক্রম করেছে। বন্যায় প্লাবিত মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি রাখা হয়েছে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা শুরু হয়েছে। বিলোনিয়া ও শান্তিরবাজার শহর এলাকা থেকে জলে প্লাবিত মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।








রিপোর্ট অনুযায়ী, বিলোনিয়া মহকুমায় এখনও পর্যন্ত ছ'টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, টানা ভারী বর্ষণে গাছ উপড়ে পড়ায় অবরুদ্ধ সড়ক পরিষ্কার রাখতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জরুরি পরিষেবামূলক দপ্তরগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। প্রশাসন সার্বিক পরিস্থিতির উপর গুরুত্ব সহকারে নজর রেখে চলছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাববিলায় প্রস্তুত। জেলায় বসবাসকারী জনগণকে সতর্ক থাকার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।