আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্টের ঘটনায় প্রাণ চলে গিয়েছে ১১ জনের। আহত হয়েছিলেন অন্তত ৩৭ জন। এই মর্মান্তিক ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সচিব এ শঙ্কর ও কোষাধ্যক্ষ ইএস জয়রাম।
গত বুধবার চিন্নাস্বামীতে যখন আরসিবির আইপিএল জয়ের সেলিব্রেশন চলছে, তখন স্টেডিয়ামের বাইরে ঘটে যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্টেডিয়ামে ঢোকার হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার মধ্যে আরসিবির মার্কেটিং প্রধানও আছেন।
এক বিবৃতিতে সচিব ও কোষাধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তার পর থেকে দু’দিন ধরে আমাদের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। যদিও আমাদের ভূমিকা খুবই সামান্য। তবুও ঘটনার নৈতিক দায় স্বীকার করে শুক্রবার রাতেই আমরা পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগপত্র রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সভাপতিকে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এদিকে, একদিন আগেই আরসিবির মার্কেটিং বিভাগের প্রধান নিখিল সোসালেকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এছাড়া আরসিবির বিজয়োৎসব আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ‘ডিএনএ এন্টারটেনমেন্ট নেটওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেডের’ তিন জন আধিকারিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চিন্নাস্বামীতে পদপিষ্টের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আরসিবি ছাড়াও কর্নাটকের স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (কেএসসিএ) বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, পদপিষ্টের ঘটনায় বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে সাসপেন্ড করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এছাড়া সাসপেন্ড করা হয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশের একাধিক শীর্ষকর্তাকে। সেই তালিকায় রয়েছেন কাবন পার্ক থানার ইনস্পেক্টর, স্টেশন হাউস অফিসার, স্টেশন হাউস মাস্টার, সেন্ট্রাল ডিভিশনের ডিসিপি, সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনচার্জ। কেএসসিএ–র সেক্রেটারি এবং কোষাধ্যক্ষকেও জেরা করার কথা জানা গিয়েছিল। পুলিশ তাঁদের বাড়িতে হানা দিলেও সন্ধান পায়নি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তাঁরা। অবশেষে শুক্রবার রাতে দু’জনেই পদত্যাগ করলেন।
