আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার সুইস এয়ার কোয়ালিটি টেকনোলোজি সংস্থা ‘এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট ২০২৪’ প্রকাশ করেছে। তাতে যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, রীতিমতো চমকে ওঠার মতো।

রিপোর্টের তথ্য কী? সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ২০টি দূষিত শহরের মধ্যে, ১৩টিই ভারতের। পরিসংখ্যানের হিসেবে, ২০২৪ জুড়ে ভারত বিশ্বের অন্যতম দূষিত দেশ ছিল।

২০২৪ সালে ভারতে পিএম২.৫-এর ঘনত্ব ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, গড়ে প্রতি ঘনমিটারে ৫০.৬ মাইক্রোগ্রাম, যেখানে ২০২৩ সালে প্রতি ঘনমিটারে ৫৪.৪ মাইক্রোগ্রাম ছিল। তবুও, বিশ্বের ১০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ছয়টি ভারতেরই। বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত শহরও ভারতেরই। দিল্লির পরিস্থিতিও চমকে ওঠার মতো। তালিকায় দ্বিতীয়।

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ভারতের যে ১৩টি শহরের নাম রয়েছে, সেগুলি হল- বার্নিহাট, দিল্লি, মুল্লানপুর (পাঞ্জাব), ফরিদাবাদ, লোনি, নয়াদিল্লি, গুরুগ্রাম, গঙ্গানগর, গ্রেটার নয়ডা, ভিওয়াড়ি, মুজাফফরনগর, হনুমানগড় এবং নয়ডা। বিশ্বের দূষিত ২৫ শহরের মধ্যে তালিকায় পাকিস্তানের সাত শহর।

সামগ্রিকভাবে, ৩৫ শতাংশ ভারতীয় শহর বার্ষিক পিএম ২.২-এর মাত্রা হু-এর নির্ধারিত মাত্রার ১০গুণ বেশি।  গবেষণার তথ্য, ভারতে বায়ু দূষণ এখনও একটি গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি, যা আনুমানিক ৫.২ বছর আয়ু কমিয়ে দেয় সাধারণ মানুষের।

২০২৪-এ প্রকাশিত ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথের এক গবেষণা অনুসারে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মৃত্যুর কারণ মূলত বায়ুদূষণ। 

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য পিএম ২. আসলে কী? ২.৫ মাইক্রনের চেয়ে ছোট ক্ষুদ্র বায়ু দূষণকারী কণা, যা মূলত ফুসফুস এবং রক্তপ্রবাহে মিশে যায়।এর প্রভাবে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। এর উৎস যানবাহন নির্গত ধোঁয়া, কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং কাঠ-ফলস পোড়ানো ধোঁয়া।