আজকাল ওয়েবডেস্ক: জম্মুর খৌর-পারগওয়াল সেক্টরে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়িঘর ধ্বংস, গবাদিপশু নিহত ও জীবিকা হারিয়ে হতবাক সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষজন এখন সরকারের কাছে আশ্রয় ও পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছেন।

২২ এপ্রিলের পাহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। এরপর থেকেই সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলি শুরু হয়। সাম্প্রতিক গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলায় জম্মু অঞ্চলে ২৭ জন নিহত এবং ৭০ জনেরও বেশি আহত হন। হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তার খোঁজে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

গ্রামবাসী কমলা দেবী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমাদের গরুগুলো মারা গেছে, বাড়ি ধ্বংস। এখন কোথায় থাকব?”
প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য যোগিন্দর লাল ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, “পাকিস্তান বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। আমরা যুদ্ধ চাই। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে আর বাঁচা যায় না।”

সরকারি তৎপরতা শুরু হয়েছে। মুখ্যসচিব অতুল দুলো এবং ডেপুটি কমিশনার সচিন বৈশ্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
কংগ্রেস নেতা তারা চাঁদ সরকারের কাছে প্রতিটি পরিবারকে ১০ মারলা জমি ও ৫ লক্ষ টাকা সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

সীমান্তের ৮০টিরও বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুল বন্ধ, কৃষিকাজ থমকে। মানুষ এখন শুধুই চায়—নিরাপত্তা, আশ্রয় এবং স্থায়ী সমাধান।