আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে ভয়াবহ সড়ক দু্র্ঘটনা। ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন। সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত এক থার গাড়ি চালক। বেপরোয়া থার গাড়ি চাপায় এক ব্যক্তির ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার প্রায় দু দিন পর অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার রাতে। অভিযুক্ত চালকের নাম অমরিন্দর। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং একটি পার্টি থেকে ফিরছিলেন। ফেরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৪০ বছর বয়সী বেচু লালকে ধাক্কা মারেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেচু লাল সেসময় তাঁর মোটরসাইকেল একটি ট্রাকের পেছনে পার্ক করে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে এসে থার গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে তাঁকে, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। দুর্ঘটনার পর এর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত গাড়িটির সামনের সিটে দুটি মদের বোতল ছিল। দুর্ঘটনার পর চালক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। এমনকী শুক্রবার রাত থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। শেষমেশ স্থানীয় পুলিশ রবিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

ভিডিওতে আরও দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ধাক্কা মারার পর থার গাড়িটি ফুটপাথে বেশ কিছুটা উঠে যায়। এরপর একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং রাস্তার ধারের একটি পাথরের বেঞ্চে ধাক্কা খেয়ে থেমে যায়। গাড়ি সরাতে না পেরে অভিযুক্ত চালক গাড়ি ফেলেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

প্রসঙ্গত এর আগে চলতি মাসের শুরুতে দিল্লির চানক্যপুরীর ‘গ্যারাহ মূর্তি’ এলাকার কাছে আরেকটি থার গাড়ি দুর্ঘটনায় একজন পথচারী নিহত হন এবং আরও একজন  গুরুতর আহত হন। সেই ঘটনার পর গাড়ি থেকে মদের বোতল ছাড়াও এলএসডি এবং কোকেইনসহ নানা ধরনের মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল।

ঘটনার জেরে তদন্ত জারি রয়েছে৷ এহেন ধারাবাহিক দুর্ঘটনাগুলি দিল্লিতে উচ্চগতির গাড়ি চালনা, মাদকাসক্ত চালকের অসাবধানতা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

প্রসঙ্গত, আহমেদাবাদে নেহরুনগর এলাকার ঝাঁসির রানি মূর্তির কাছে সোমবার ভয়াবহ এক পথ দু্র্ঘটনা ঘটে। ভোররাতে আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে একটি বেপরোয়া গাড়ি একটি স্কুটারকে আচমকা ধাক্কা দেয়। এর ফলে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। গাড়ির গতি এতটাই তীব্র ছিল যে উপস্থিত আরও একজন গুরুতর আহত হন৷ পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃতদের শনাক্ত করেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতরা হলেন জামালপুর এলাকার বাসিন্দা আকরাম আলতাফ কুরেশি (২২) এবং আশফাক জাফর আজমেরি (৩৫)। তাঁরা দু’জনই একটি অ্যাক্টিভা স্কুটারে করে শিবরঙ্গিনী ক্রসরোডের দিকে যাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ মেঘের দেশে যৌনতার সীমা ছাড়ালেন তরুণী! মায়ের ঘুম ভাঙতেই যা হল...

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সি রোহন পারেশ সোনি নামক এক যুবক। ঘটনার দিন তিনি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ও বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। খবর অনুযায়ী, তাঁর গাড়িটি ওই স্কুটারকে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা দেয়। এতই জোরে ধাক্কা মারে যে স্কুটারটি বিকৃত হয়ে যায় এবং ঝাঁসির রানি বাসস্ট্যান্ডের গেট পর্যন্ত ছিটকে যায়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, আকরাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপরদিকে আশফাককে গুরুতর আহত অবস্থায় জিএমইআর সোলা সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকাল ৫টা ২০ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ রাজনীতি নয়, সুরেই মুগ্ধতা ছড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী! রাজভবনে 'পহেলা নশা' পরিবেশনে কনরাড সাংমার সঙ্গীতপ্রেমে

পুলিশ সূত্রে খবর, রোহন সোনির বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অভিযোগ যেমন অতিরিক্ত গতি, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানো, এমনকি পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার অন্যতম। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, তাঁর নামে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা নথিভুক্ত আছে।