আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেঘালয় হত্যাকাণ্ডে সোনম রঘুবংশীর কর্মকাণ্ড চমকে দিয়েছিল গোটা দেশকে। সেরকমই কাণ্ড ঘটল বিহারের ঔরঙ্গাবাদে। বিয়ের মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে পিসেমশাইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন করলেন তরুণী। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে গত কয়েক বছর ধরে পিসেমশাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিযুক্ত তরুণী। মেঘালয় হত্যাকাণ্ডে সোনমের কীর্তি তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। গত ২ জুন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৪ জুন স্টেশন থেকে ফেরার সময় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির হাতে খুন হন ২৪ বছর বয়সী যুবক প্রিয়াংশু কুমার সিং। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনা। তদন্তের অগ্রগতি হলে পুলিশ প্রিয়াংশুর স্ত্রী গুঞ্জার যোগসূত্র খুঁজে পায়। পুলিশ জানতে পারে, গত বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর পিসেমশাই জীবন সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল গুঞ্জার এবং বিহারের ঔরঙ্গাবাদের বারওয়ানের কৃষক প্রিয়াংশুর সঙ্গে তাঁকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল। গুঞ্জা এবং জীবন এই কাজের জন্য খুনিদের ভাড়া করেছিল বলে অভিযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুঞ্জা এবং প্রিয়াংশুর বিয়ের মাত্র ৪৫ দিন পূরণ হয়েছিল।
ঔরঙ্গাবাদের এসপি অম্বরীশ রাহুল জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তরুণী তাঁর পিসেমশাইয়ের সঙ্গে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে অবৈধ সম্পর্কে ছিলেন এবং বিয়ে করতে অনিচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু পরিবারের চাপের পড়ে তাঁকে বিয়ে করতে হয়েছিল। বিয়ের পর গোপন সম্পর্ক বজায় রাখতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েই গুঞ্জা স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, জীবনের সঙ্গে মিলে গুঞ্জা এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল। ঝাড়খণ্ডের গাড়োয়া জেলার দুই ব্যক্তিকে খুনের সুপারিও দেওয়া হয়েছিল। খুনের রাতে প্রিয়াংশু বারাণসী থেকে ফিরে আসার সময় স্ত্রীকে ফোন করে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানায়। গুঞ্জা খুনিদের কাছে সেই তথ্য পৌঁছে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। বুধবার ২ জুলাই গ্রেপ্তারির পর গুঞ্জা তাঁর অপরাধ স্বীকার করেছে। অন্য দুই আততায়ীকে গ্রেপ্তার করা হলেও, জীবন এখনও পলাতক।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, প্রিয়াংশুর সঙ্গে গুঞ্জার বিয়ের আগে জীবন গুঞ্জার অন্য সব বিয়ের প্রস্তাব ভেঙে দিয়েছিলেন। বিয়ের পরেও গুঞ্জা এবং তাঁর পিসেমশাই যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলেন। যার ফলে তাঁদের বৈবাহিক জীবনে অশান্তি দেখা দেয়।
