নিতাই দে, আগরতলা: রাজ্যে যখন সুশাসনের দাবিতে প্রশাসন সক্রিয়, ঠিক তখনই ফের এক মর্মান্তিক ঘটনায় রক্তাক্ত হল সোনামুড়া মহকুমা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ত্রিপুরার সিপাইজলা জেলার সুনামুরা মহকুমার কলম খেত গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গা সংঘ এলাকায় ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। স্বামীকে খুন স্ত্রীকে মারধোর,  ডাকাতির ঘটনায়  ভয়ে কাঁপছে গোটা এলাকা।

জানা গিয়েছে আহত নমিতা দাস নিজে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় পুলিশকে জানান মঙ্গলবার গভীর রাতে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল প্রবেশ করে শান্তি রঞ্জন দাস (৮০) ও তাঁর স্ত্রী নমিতা দাসের (৭০) বাড়িতে। ডাকাত দলের সদস্যরা ঘুমন্ত অবস্থায় দম্পতির উপর হামলা চালায়। ডাকাতরা বৃদ্ধার গলা ও কানের গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন শান্তি রঞ্জন দাস ও তাঁর স্ত্রী। তখনই দুর্বৃত্তরা শান্তি রঞ্জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং নমিতা দেবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে  শরীরে থাকা সব স্বর্ণের জিনিস লুট করে নিয়ে যায়। একই তথ্য জানিয়েছেন নমিতার বোনও।

আরও পড়ুন: ২০২৪-এ ডিজিটাল জালিয়াতিতে ভারতীয়রা খুইয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা, অনলাইন লেনদেন-হোয়াটসঅ্যাপ-টেলিগ্রাম থেকেই বড় বিপদ? সত্যিটা এল সামন

 ডাকাত দলের সদস্যদের হাতে আহত নমিতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আগরতলার সরকারি মেডিকেল কলেজ ( জিবি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডাকাতদলের হাতে নির্মম অত্যাচারের পর, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শান্তি রঞ্জনের। জানা যায়, বৃদ্ধ দম্পতির তিন পুত্র রয়েছে তার মধ্যে মধ্যে একজন টিএসআর কর্মরত এবং বাকি দু’ জন আগরতলায় ব্যবসার কাজে থাকায় ঘটনার সময় কেউ বাড়িতে ছিলেন না। 
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোনামুড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। এই ঘটনার তদন্তে গোটা এলাকা জুড়ে  শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে কাঠালিয়া মুড়া এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে এই ডাকাতি চক্রের আরও তথ্য মিলতে পারে বলে আশা তদন্তকারী আধিকারিকদের।


এই নৃশংস  ডাকাতির ঘটনায় গোটা এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, যদি নিজের বাড়িতেই নিরাপদ না থাকা যায়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?