আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডিজিট্যাল অ্যারেস্টের ফাঁদ থেকে রেহাই পেলেন না প্রাক্তন সেনা কর্মীও। ট্রাই এবং সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তাঁকে ফেলা হল ফাঁদে। সেনা কর্মী বিশ্বাস করে খোয়ালেন পাঁচ লাখ টাকা। হরিয়ানার ফরিদাবাদের ঘটনা।
প্রাক্তন সেনা কর্মীর নাম আদিত্য কুমার ঝা। ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, বছর ৫৫ এর ওই আধিকারিক ভোটের ডিউটি সেরে ফিরছিলেন। ছয় অক্টোবর সকাল নটা ৫০ নাগাদ তাঁর ফোনে অচেনা নম্বর থেকে একটি ভিডিও কল আসে। তাঁর স্ত্রী আর সন্তান দিল্লিতে মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁরা কেউ ফোন করে থাকতে পারে ভেবে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন। অপর প্রান্ত থেকে ফোন ধরে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। পরিচয় দেন ট্রাইয়ের অফিসার হিসেবে।
আদিত্য কুমার ঝাকে বলা হয়, দু’ঘন্টার মধ্যে তাঁর মোবাইল নম্বর ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হবে। কারণ তাঁর আধার কার্ড দিয়ে সিম তোলা হয়েছে এবং সেই সিম থেকে জুয়ার বার্তা পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এরপর ভিডিও কলে হাজির হন আরেকজন। তিনি পরিচয় দেন সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের একজন কর্তা হিসেবে। বিজয় কুমার জানান, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে। এরপর আদিত্য কুমার ঝাকে বলা হয়, দু’ঘন্টার মধ্যে দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে। তাতে সম্মত না হওয়ায় তাঁকে বলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে সাড়ে ছ’কোটিরও বেশি অর্থ তছরূপের মামলা দেওয়া হবে। এরপরই চাওয়া হয় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস। কোনওভাবেই যেন ভিডিও কল না কাটা হয় সেই নিয়ে দেওয়া হয় হুমকি।
তিনি সেইমতো কাজ করতে থাকেন। প্রতারকেরা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর দিয়ে তাঁকে বলে সেখানে টাকা জমা করতে। কিন্তু লেনদেন করা সম্ভব হয়নি। এরপর বলা হয়, ব্যাঙ্কের হোম ব্র্যাঞ্চে গিয়ে সেখানে টাকা জমা করতে। তিনি কল না কেটে ট্রেনে বিহারে গিয়ে ব্যাঙ্কে পাঁচ লাখ টাকা জমা করেন। এরপরই ফোন কেটে দেওয়া হয়। তাঁর সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে যোগাযোগ করেন। পুলিশ জানায় পুরো ব্যাপারটাই ভুয়ো। ওই টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
