আজকাল ওয়েবডেস্ক: গিয়েছিলেন খাওয়া দাওয়া, হইচই করতে। ফিরলেন মারামারি করে। একদিকে গ্রাহকরা অন্যদিকে রেস্তোরাঁ কর্মীরা। দু' পক্ষের বিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ওই ভিডিওর সত্যচা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন।
জানা গিয়েছে, জয়পুরের এক রেস্তোরাঁয় ওই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, রবিবার নাহারগড় পাহাড়ে অবস্থিত পাড়াও রেস্তোরাঁয় এই ঘটনা ঘটে। বিবাদের সূত্রপাত মূলত 'সিট রিজার্ভেশন'কে কেন্দ্র করে। জানা গিয়েছে, বুকিং নিয়ে সমস্যার শুরু এবং তা পৌঁছয় একেবারে হাতাহাতি পর্যন্ত। রেস্তোরাঁর কর্মীদের সঙ্গে দুই মহিলা-সহ একদল গ্রাহকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: 'রাস্তায় এসব কী করছ?', প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত কাজে বাধা দিতেই ট্রাম্পের দেশে গুলি করে খুন ভারতীয় যুবককে...
ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। তবে ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দু' পক্ষ একে অপরকে চড় মারছে এবং ঘুষি মারছে। ওই ভিডিওটি প্রায় ৪৫ সেকেণ্ডের। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কমপক্ষে ১৫ জন, যার মধ্যে দুই দম্পতিও রয়েছেন, মারামারি করছেন একে অন্যের সঙ্গে। দুই মহিলাকে রেস্তোরাঁর কর্মীদের মারধর করতে এবং চিৎকার করতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গীদের মারধর করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, মূল বিবাদের সূত্রপাত রাত আটটার দিকে। যখন দুই যুগল রেস্তোরাঁয় পৌঁছয়। বিবাদ শুরু হয়, হোটেলের ডিনার টেবিল বুক করা নিয়ে। জানা গিয়েছে, ওই দুই মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, রেস্তোরাঁ কর্মীরা তাঁদের হেনস্থা করেছেন।
ব্রহ্মপুরী থানার ইনচার্জ রাজেশ গৌতম নিশ্চিত করেছেন, উভয় পক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে যে আগে থেকে বুক করা একটি আসন নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয়েছিল, যার ফলে এটি খালি করার বিষয়ে তর্ক শুরু হয়েছিল। আমরা ভিডিও প্রমাণ পর্যালোচনা করছি এবং উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।'
রাজস্থান পর্যটন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত এই রেস্তোরাঁটি স্থানীয় এবং পর্যটক উভয়ের কাছেই একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। ইতিমধ্যেই অন্যান্য গ্রাহকরা কর্তৃপক্ষের কাছে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে রেস্তোরাঁর জেনারেল ম্যানেজার ভগত সিং দাবি করেন, গ্রাহকদের দলটি একজন পুলিশ অফিসারের সুপারিশে এসেছিল এবং একজন মহিলা বিনা প্ররোচনায় একজন ওয়েটারকে চড় মারলে ঝগড়া শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, কর্মীরা আত্মরক্ষার জন্য কাজ করেছেন এবং পুলিশের কাছে পাল্টা অভিযোগও দায়ের করেছেন।
দিন কয়েক আগে, রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার বিষয়ে আরও একটি ঘটনা চর্চায় আসে। গ্রেটার ম্যানচেস্টারের জনপ্রিয় ভারতীয় রেস্টুরেন্ট ‘সাই সুরভি’-তে এক সন্ধ্যায় সাধারণ খাওয়া-দাওয়া ভয়াবহ অভিজ্ঞতায় রূপ নেয় সেদিন। দুই পরিবার, চারজন প্রাপ্তবয়স্ক ও চার শিশু মিলে প্রায় £২০০ (প্রায় ২৩,৫০০ টাকা)-এর খাবার উপভোগ করলেও শেষে বিল না মিটিয়েই পালিয়ে যান বলে অভিযোগ।
রেস্টুরেন্টের মালিক রমন কৌর ও নরিন্দর সিং আঠওয়া জানিয়েছেন, ৩০শে আগস্ট রাতে দুই পরিবার রেস্টুরেন্টে আসেন। তাঁরা খাবার, সেবা ও সাজসজ্জা সবকিছু নিয়ে প্রশংসা করেন। শিশুদের স্বাভাবিক দুষ্টুমি ছাড়া কোনও সমস্যাও দেখা দেয়নি। কিন্তু যখন বিল মেটানোর পালা এল, তখনই বিপত্তি। মালিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, পরিবারগুলি পাঁচটি ভিন্ন কার্ড দিয়ে চেষ্টা করেন, বন্ধুবান্ধবকে ফোন করে টাকা পাঠাতে বলেন, কিন্তু এক পয়সাও পরিশোধ হয়নি। শেষমেশ তাঁরা জানান, 'আমাদের কোনও উপায় নেই, আমরা টাকা দিতে পারব না।' এমনকি পরিচয়পত্র চাইলে সেটিও দেখাতে ব্যর্থ হন।
পরিবারের পক্ষ থেকে একটি নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে বলা হয়, পরের দিন টাকা পরিশোধ করা হবে। সেইসঙ্গে অনুমতি দেন, যদি টাকা না দেওয়া হয় তবে মালিকরা যেন সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেন। মালিক দম্পতি ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, 'আমরা এভাবে প্রকাশ্যে আনতে চাই না, কিন্তু আমাদের আর কোনো উপায় নেই। স্বাধীনভাবে চলা একটি পারিবারিক ব্যবসা হিসেবে এখনকার সময় অত্যন্ত কঠিন। এই £২০০-ই আমাদের কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল বা নতুন মাল কেনার কাজে লাগতে পারত।'
