আজকাল ওয়েবডেস্ক: লক্ষ লক্ষ টাকার দেনা। দিদিকে বলেছিলেন, মরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। দিদি আশ্বাস দিয়েছিলেন ভাইকে। বুঝিয়েছিলেন, টাকা জোগাড় করা হবে যে ভাবেই হোক। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে যেন ভুল পথ বেছে না নেন। শেষ পর্যন্ত দেনার দায়ে ডুবে, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন যুবক।

রাজস্থানের ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অনলাইন গেমিংয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দেনার কারণে, স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে, মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন যুবক।

জানা গিয়েছে, কোটার বাসিন্দা দীপক রাঠোর, মোবাইল ফোনে অনলাইন গেম খেলতেন। বিপুল অঙ্কের দেনায় ডুবে স্ত্রী-কে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, চরম পদক্ষেপ গ্রহোনের একদিন আগে, দিপক তাঁর দিদিকে জানিয়েছিলেন পরিস্থিতির কথা। বলেছিলেন, তিনি ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝায় ডুবে আছেন। বড় বোনকে দীপক বলেন, 'মৃত্যু ছাড়া আমার আর কোনও উপায় নেই।‘

পরের দিন দীপকের বাবা সত্যনারায়ণ ছেল বউমার কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দেন। কিছুক্ষণ পর দীপকের পাঁচ বছরের মেয়ে দরজা খোলে। সেখানেই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়।

কোটা গ্রামীণ পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সুজিত শঙ্কর বলেন, অনলাইন গেমিং ঋণকে দম্পতির আত্মহত্যার কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, ঘটনার সকল দিক তদন্ত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রায় ছ’ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ওই দম্পতির।