আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছত্তিশগড়ে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা ঘটেছে। রায়গঢ়ে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) একটি পোস্টে মর্মান্তিক ঘটনা। বুধবার ভোরে, প্রায় ৪টে নাগাদ এক হেড কনস্টেবলকে গুলি করে খুন করেছেন তাঁরই এক সহকর্মী। ঘটনার জেরে নিরাপত্তা বাহিনীতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হেড কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত হেড কনস্টেবলের নাম পিকে মিশ্র। তাঁকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালান তাঁর ব্যাচমেট ও সহকর্মী কেএস লাডের। অভিযুক্ত লাডের নিজের সার্ভিস পিস্তল ব্যবহার করে গুলি করেন। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মিশ্র। আরপিএফ পোস্টের ভিতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়।

জানা গিয়েছে, মৃত পিকে মিশ্র এবং অভিযুক্ত কেএস লাডের দু'জনেই একই আরপিএফ পোস্টে কাজ করতেন। অবাক করার মতো বিষয় হল, তাঁরা ২০০১ সালে একসঙ্গে বাহিনীতে যোগ দেন। এরপর দু'জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। অভিযুক্ত লাডেরের বাড়ি জাঞ্জগির জেলার ভাতাপাড়ায়। পুলিশ তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে। যদিও এই খুনের আসল কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ডিউটি শেষ হওয়ার পরেই দু'জনের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে মারাত্মক বচসা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তা খুনের ঘটনায় রূপ নেয়।

ব্যক্তিগত শত্রুতা বা অন্য কোনও পেশাগত বিরোধ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে গুলি চলার শব্দে গোটা আরপিএফ চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিজেদের সহকর্মীর এই পরিণতি দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান অন্যান্য কর্মীরা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান আরপিএফ-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং স্থানীয় পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়।

জানা গিয়েছে, মিশ্র প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে অনূপপুর থেকে বদলি হয়ে রায়গঢ়ে আসেন। ঠিক কী কারণে খুন করা হলো, তা জানতে অভিযুক্ত লাডেরকে জেরা করছে পুলিশ। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি অন্য কর্মীদের বয়ানও নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে।