আজকাল ওয়েবডেস্ক:  আগামী ১৮ সেপ্টম্বর থেকে জম্ম-কাশ্মীরে শুরু হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে নিয়ে দু’দিনের জম্মু-কাশ্মীর সফরে রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন রাহুল। সেখান থেকেই জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন লড়াইয়ের ডাক দেন কংগ্রেস নেতা।
 
 ৩৭০ ধারা রদের পর জম্মু-কাশ্মীরে এই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন। ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে পরাস্ত করতে এবারও জোট বাঁধতে যে আপত্তি নেই কংগ্রেসের। সেকথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেও জোট গড়তে শর্ত রাখলেন কংগ্রেস সাংসদও। 
 
 রাহুল গান্ধীর সাফ বার্তা, বিধানসভা নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরে জোট হবে। তবে জোট হবে ভালোবাসা-এবং বন্ধুত্বের। জোট হবে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের সম্মান রক্ষা করেই। জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে জোটে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি এদিন মোদি সরকারকেও একহাত নেন বিরোধী দলনেতা। রাহুল  বলেন, লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির আত্মবিশ্বাসকে নষ্ট করে দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এবার জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়াই কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটের একমাত্র লক্ষ্য। একইলসঙ্গে উপত্যকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারও ফের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন কংগ্রেস নেতা।
এরপর রাহুলের সংযোজন, স্বাধীনতার পর ভারতে বহুবার কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে রাজ্যে রূপান্তরিত করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম কোন একটি রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি জানি আপনাদের কী সহ্য করতে হয়। কিন্তু এপর্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যদি কেউ জম্মু-কাশ্মীরে কাজ করে থাকে, সেটা কংগ্রেস নেতা-কর্মীরাই। তাই আমরা বার্তা দিতে চাই যে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের প্রতিনিধিত্ব আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
 
 বিধানসভা নির্বাচনে্র আগে রাহুল গান্ধীর জম্মু-কাশ্মীর সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। আসন্ন নির্বাচনের আগে উপত্যকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি যে দলীয় কর্মীদের সম্মান ও পরিশ্রমকেও হাইকম্যান্ড যে ব্যর্থ হতে দেবে না, শ্রীনগর থেকে সেই বার্তাই রাহুল গান্ধী দিলেন বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। 
