আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাহাউর রানা। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর,  মাত্র ১৪ ফুট বাই ১৪ ফুট মাপের কুঠুরিতে রাখা হয়েছে তাঁকে। ওই কুঠুরির বাইরে সর্বক্ষণ সিসিটিভির নজরদারি, সর্বক্ষণ কড়া প্রহরী। এনআইএ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অন্যান্য বন্দিদের মতোই রাখা হয়েছে তাঁকে। কোনও বাড়তি সুবিধা নয়। 

একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, হেফাজতে থাকার সময় মোট তিনটি জিনিস চেয়ে নিয়েছেন রানা। কী কী সেই তিন জিনিস? সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হেফাজতে থাকা রানা কোরান, কাগজ এবং কলম চেয়েছেন। দেওয়া হয়েছে সেগুলি। 


এই তিন জিনিস নিয়েই দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন তিনি। কোরান পড়েন, হেফাজতে পাঁচবার নামাজ পড়েন নিয়ম করে। কাগজ এবং কলম নিয়েও কাটাচ্ছেন সময়। তবে ওই কলম দিয়ে যাতে নিজের ক্ষতি না করতে পারেন, তদন্তকারী আধিকারিকদের নজর রয়েছে সেদিকেও।

আদালতের নির্দেশ অনুসারে, রানাকে দিল্লি লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি (ডিএলএসএ) প্রদত্ত আইনজীবীর সঙ্গে প্রতি একদিন অন্তর দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং প্রতি ৪৮ ঘন্টা অন্তর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে নিয়ম করে। 

রানার কুঠুরিতে বহু-স্তরীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা লাগানো হয়েছে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে চলছে সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারি। কেবলমাত্র ১২ জন মনোনীত এনআইএ অফিসার সেখানে প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্ত। কুঠুরির মাটিতে একটি বিছানা রয়েছে এবং কুঠুরির ভেতরে একটি শৌচালয় রয়েছে। সমস্ত মৌলিক চাহিদা - খাবার, পানীয় জল, চিকিৎসার ব্যবস্থা কুঠিরির ভেতর তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।