আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০১৮ সালে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল ন্ম্ন আদালত। সেই অপরাধীকেই মঙ্গলবার বেকলুর খালাস ঘোষণা করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। রায়ে বলা হয়েছে যে, স্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া কেবল একজন মহিলার হাত টানা অপরাধ নয়। বিচারপতি আরএন মঞ্জুলা, দোষী সাব্যস্ত মুরুগেসনের আপিল মঞ্জুর করার সময় এই পর্যবেক্ষণ দেন। ওই ব্যক্তিকে নিম্ন আদালত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা মোতাবেক তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল।
সরকার অভিযোগ করেছে যে, ২০১৫ সালের ৪ মে, হিন্দু মারাভার সম্প্রদায়ের অভিযুক্ত ব্যক্তি মুরুগেসন- নেদুনকুলাম চ্যানেলের কাছে গবাদি পশু চরাতে থাকা এক তফশিলি বর্ণের মহিলার হাত ধরে টেনেছিল। মহিলার জাত তুলে কথা বলেছিলেন। নিম্ন আদালত ওই ব্যক্তিকে এসসি/এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে খালাস করে দিয়েছিল। কিন্তু মহিলাকে অবমাননার জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।
আরও পড়ুন- 'আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়', নির্বাচন কমিশনের যুক্তিকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের
শুনানির সময়কালে, হাইকোর্ট সাক্ষীদের বিবরণে অসঙ্গতি এবং মানসিক অবস্থার কারণে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য দিতে অক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে। প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন, কখনও কখনও দাবি করেছেন যে তিনি ঘটনাটি দেখেছেন, আবার কখনও কখনও স্বীকার করেছেন যে, অভিযুক্ত চলে যাওয়ার পরে তিনি এসেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের নজির উদ্ধৃত করে বিচারপতি মঞ্জুলা বলেন যে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারার ক্ষেত্রে, কারোর শালীনতাকে অবমাননা করা হয়েছে বলে স্পষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে। আদালত উল্লেখ করেছে যে, একজন মহিলার হাত টানা শালীনতার অনুভূতিকে আঘাত করতে পারে, কিন্তু উদ্দেশ্যের প্রমাণ ছাড়া, অস্পষ্ট বা সাধারণ বক্তব্যে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।
আদালত মুরুগেসনকে সন্দেহের সুবিধা প্রদান করেছে, তাঁকে নির্দোষ বলে জানিয়েছে। সেই সঙ্গেই প্রদত্ত জরিমানার অর্থ ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- এক বাড়িতেই ৯ ভুয়ো ভোটারের হদিশ! কেরলে বিজেপির একমাত্র জয়ী লোকসভা আসনে মারাত্মক ভোটার কারচুপি?
