আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফাঁকা স্কুলে দেদার মদ্যপান। পার্টি জমে উঠত মদ, খাবার, গানবাজনায়। আগেই বিষয়টি টের পেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। এবার মদ্যপান করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেন স্কুলের প্রিন্সিপাল ও শিক্ষক। ঘটনাটি ফাঁস হতেই চোখ ছানাবড়া সকলের। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায়। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ওই জেলার এক সরকারি স্কুলের ভিডিও। যে ভিডিওটি দেখা গেছে, স্কুলের মধ্যেই দেদার মদ্যপান করছেন প্রিন্সিপাল ও এক শিক্ষক। স্কুল ঘরের মধ্যে টেবিলে সাজানো মদের বোতল, গ্লাস ও খাবার। মুখোমুখি বসে মদ্যপান করছেন তাঁরা। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। 

জানা গেছে, খুরাই ব্লকের গারৌলা জাগির এলাকায় সিএম রাইস স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল আরপি নামদেব ও ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষক সন্দীপ সিং ঠাকুর মদ্যপান করার সময় ওই স্কুলের মধ্যেই হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই স্কুলের অভ্যন্তরে শিক্ষকরা দেদার মদ্যপান করে হুল্লোড়ে মেতে উঠেছেন। মাঝে মাঝেই গানবাজনার শব্দ পাওয়া যেত। সদ্য ওই স্কুলে আচমকাই না জানিয়ে ঢুকে পড়েন গ্রামবাসীরা। সেখানে ঢুকতেই একটি ঘরে প্রিন্সিপাল ও শিক্ষককে মদ্যপান করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। 

গ্রামবাসীরা শোরগোল করতেই, বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল ও শিক্ষক। এমনকী মদ বাইরে ফেলে দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলটি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবিও জানান তাঁরা। 

সেদিন প্রিন্সিপালের পরিবারের সদস্যরা এসে গ্রামবাসীদের হেনস্থা করতে শুরু করেন। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত কয়েক মাস আগেই ওই প্রিন্সিপালকে অন্যত্র ট্রান্সফার করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও নির্দেশ অমান্য করে তিনি এই স্কুলেই ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসেই সরকারি ব্যাঙ্কের মধ্যে পার্টিতে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছিল কর্মীদের। সঙ্গে দেদার মদ্যপান, নাচগানের আসর। সেই আসরে হাজির খোদ ম্যানেজার। সঙ্গী তাঁর বন্ধুরা। মদের গ্লাস মাথায় তুলে নাচ করতেও দেখা গেছে তাঁদের। ঘটনার ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই, তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ে। জানা গেছে, বিজাপুর জেলাতেই সরকারি ব্যাঙ্কের নতুন একটি ব্রাঞ্চে এই ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে‌। ওই ব্রাঞ্চের সার্ভিস ম্যানেজার সম্প্রতি বদলি হয়েছেন। তাঁর ফেয়ারওয়েল পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল ব্যাঙ্কের মধ্যেই। সেই ব্যাঙ্কেই মধ্যে ছুটির দিনে দেদার মদ্যপান করে হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন কর্মীরা। 

জানা গেছে, ছুটির দিনে ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে গাঁক গাঁক করে গান ভেসে আসে। রাতেরবেলায় চেঁচামেচি ও গানের আওয়াজে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন আশেপাশের বাড়ির বাসিন্দারা। রাগে, বিরক্তিতে ওই এলাকারই এক বাসিন্দা চুপিচুপি ব্যাঙ্কের মধ্যে প্রবেশ করে। এরপর লুটিয়ে সেই পার্টির ভিডিও করেন ফোনে। পরে সেই ভিডিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা ইতিমধ্যেই হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজ মাধ্যমে। 

বিজাপুরের সরকারি ব্যাঙ্কের ওই ব্রাঞ্চের সার্ভিস ম্যানেজারের নাম আশীষ ওয়াকার। তিনি রাইপুরে বদলি হয়ে যান। তাঁর ফেয়ারওয়েল পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল ব্যাঙ্কের মধ্যেই। যেখানে ব্যাঙ্কের কর্মীরা ছাড়াও আশীষের বন্ধুরা এবং বাইরের একাধিক নিমন্ত্রিতরা হাজির হয়েছিলেন। সকলেই দেদার মদ্যপান করে নাচগানে মেতে ওঠেন। 

ভিডিওটিতে আশীষকেও মদ্যপ অবস্থায় নাচ করতে দেখা গেছে। ১০ থেকে ১২ জন ওই পার্টিতে ছিলেন বলে জানা গেছে। মাথায় মদের গ্লাস নিয়েও নাচ করতে দেখা গেছে তাঁকে। স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই ম্যানেজারকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে এত আওয়াজ হচ্ছে কেন? উত্তরে আশীষ জানিয়েছিলেন, তাঁর ফেয়ারওয়েল পার্টি চলছে। বদলি হয়ে যাওয়ার আগে সকলেই তাই উদযাপন করছেন। এটাই এই অফিসে তাঁর শেষ দিন ছিল। তাই বাইরে থেকে বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করে ব্যাঙ্কের মধ্যে পার্টিতে মেতে ওঠেন তিনি।