আজকাল ওয়েবডেস্ক:  আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া যেন বিনোদনের অফুরন্ত ভান্ডার। প্রতিদিনই নানান অদ্ভুত ও হাস্যকর বিষয়বস্তু ঘুরে বেড়ায় নেটদুনিয়ায়। সম্প্রতি ঠিক এমনই এক ভিডিও ঝড় তুলেছে অনলাইনে, যার দাবি শুনলে যে কারও চোখ কপালে উঠবে—একটি ময়ূর এবং একটি মুরগির মিলনে নাকি জন্ম হয়েছে এক ‘অদ্ভুত দর্শন’ শাবকের! ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকটি ছোট্ট শাবক দেখতে অনেকটা মুরগির বাচ্চার মতো হলেও, তাদের দেহে রয়েছে ময়ূরের মতো রঙিন পালকের ছোঁয়া। এই অদ্ভুত রূপ দেখে ভিডিওটির দর্শকরা হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, “প্রকৃতিও বুঝি মজার ছলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে!”

তবে ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েছে। আজকাল ডট ইন  এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, এটি সম্ভবত বিনোদনের জন্য তৈরি একটি সাজানো ভিডিও। কারও ধারণা, হয়তো মুরগির শরীরে কৃত্রিমভাবে ময়ূরের পালক জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে এটি দেখতে অদ্ভুত লাগে প্রাণীবিদরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন—বাস্তবে ময়ূর ও মুরগি মিলিত হয়ে কখনও শাবক উৎপাদন করতে পারে না। যদিও উভয়েই ফিজ্যানিডি (Phasianidae) পরিবারভুক্ত, ময়ূর (পিকক ও পিহেন) পড়ে Pavo গণে এবং মুরগি (Gallus গণে)। এই ভিন্ন গণের প্রাণীদের জেনেটিক পার্থক্য এতটাই বেশি যে, তাদের মধ্যে জৈবিকভাবে কোনও হাইব্রিড শাবক জন্ম নেওয়া অসম্ভব।

আরও পড়ুন: 'স্বল্প' পোশাকের ছাত্রীকে লিফটে একা পেয়েই দিনের আলোয় হস্তমৈথুন কলেজ কর্মীর! 

তবে এর মানে এই নয় যে, মুরগি ও ময়ূরের ছানা কখনও একসঙ্গে দেখা যায় না। বাস্তবে অনেক সময় দেখা যায়, একটি মুরগি ‘দত্তক’ নিয়ে ময়ূরের ছানাকে বড় করছে। সাধারণত একটি ‘ব্রুডি’ মুরগি (যে ডিমে তা দিতে আগ্রহী) যদি ময়ূরের ডিম বা সদ্য-ফোটা ছানা পায়, তবে সে তাকে নিজের সন্তানের মতোই পালন করে। তবে এটি দত্তক নেওয়া, কোনও প্রজাতি-সংকরায়ন নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাল ভিডিওটি সেই বৈজ্ঞানিক অসম্ভবতার সঙ্গেই বিরোধী। ফলে এটি মজা বা চমক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তবুও এই ভিডিওর জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অদ্ভুত ও রসিকতাপূর্ণ কনটেন্ট কত দ্রুত মানুষের মন জয় করে নিতে পারে।