আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলন্ত ট্রেন যাত্রীর মালপাত্র চুরি গেলে তার দায় রেলের নয়। একটি মামলায় স্পষ্ট জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে যাত্রীকেই। তবে, দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলকর্মী কাজে অবহেলা, ত্রুটি বা অসদাচরণের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিচারপতি রবিন্দর দুদেজার বেঞ্চে একটি মামলা উঠেছিল। এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে থার্ড এসি কামরায় দিল্লি থেকে নাগপুর যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল একটি ব্যাকপ্যাক। যার ভিতরে ছিল ল্যাপটপ, ক্যামেরা, চার্জার এবং চশমা। চলন্ত ট্রেন থেকে ওই ব্যকপ্যাক চুরি হয়ে গিয়েছিল। 

এই যাত্রী প্রাথমিক ভাবে জাতীয় উপভোক্তা কমিশনে অভিযোগ জানান ওই যাত্রী। দাবি করেন, চুরি যাওয়া মালপত্রের জন্য ৮৪ হাজার টাকা এবং মানসিক হয়রানির জন্য রেলকে আরও ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। কিন্তু, জাতীয় উপভোক্তা কমিশন যাত্রীর সেই দাবি খারিজ করে দেয়।

এরপর দিল্লি হাইকোর্টও জাতীয় উপভোক্তা কমিশনের সিদ্ধান্তকে বহাল রাখল। সেইসঙ্গে বিচারপতি দুদেজা জানালেন, কামরার অ্যাডেনডেন্ট রেলকর্মী ঘুমাচ্ছিলেন, সেই কারণেই চুরি গিয়েছে যাত্রীর মাল, এই দাবির কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। রায়ে বলা হয়েছে, 'চুরির ঘটনা এবং কামরার অ্যাটেনডেন্টের কর্তব্যে অবহেলার মধ্যে যুক্তিসঙ্গত যোগসূত্র থাকা উচিত। রেকর্ডে এমন কিছু নেই যা ইঙ্গিত করে যে চুরিটি কোনও সহযাত্রী করেননি। যদি তাই হত, তাহলে ট্রেনে কন্ডাক্টরের উপস্থিতিও কোনও কাজে আসত না।'