আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। এবার কাঠগড়ায় ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্মন্ন এক নার্স। অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময় মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওই নার্স এক সদ্যজাতের ডান হাতের বুড়ো আঙুল কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছেন!

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর ভেলোর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ঘটনাটি ঘটে গত ২৪শে মে-র, তামিলনাড়ুর মুল্লিপালায়মের বাসিন্দা বিমলরাজ (৩০) এবং নিবেথা (২৪) এর ঘরে এই ফুটফুটে শিশু জন্ম হয়। নবজাতকের শরীরে গ্লুকোজের ছুঁচ বদল করার সময় অভিযুক্ত নার্স তার হাত থেকে টেপ সরানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সিনিয়র নার্স হলেও তিনি ভুলভাবে কাঁচি ব্যবহার করেছিলেন। ফলে সদ্যজাতের নরম বুড়ো আঙুলটি কেটে যায়।

শিশুটির বাবা বিমলরাজের দাবি, অস্ত্রোপচারের সময় নার্স তাঁর মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। ফলে তাঁর পুরো মনোযোগ শিশুটির দিকে ছিল না। , যার দরুন দুর্ঘটনাক্রমে তাঁর সন্তানের অঙ্গচ্ছেদ ঘটেছে। বিমলরাজ বলেন, "ঘটনার পর দেড় ঘন্টারও বেশি সময় আমায় ওরা আমার সদ্যজাত সন্তানকে দেখতেদেয়নি।"

এই ঘটনা জানাজানিতে হইহই পড়ে যায়। তখন ভেলোর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য শিশুটিকে চেন্নাইয়ের স্ট্যানলি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নার্স তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

ভেলোরের জেলা কালেক্টর সুব্বুলক্ষ্মী বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "যদি প্রমাণিত হয় যে নার্স সেই সময় ফোনে কথা বলছিলেন, তাহলে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।" তাঁর মতে, এই প্রক্রিয়ায় কাঁচির প্রয়োজন হয় না এবং খালি হাতেই বিষয়টি করা যেত।

নবজাতকটি চেন্নাইয়ের স্ট্যানলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে।