আজকাল ওয়েবডেস্ক: চাকরি ছেড়ে ছুটে এসেছিলেন স্বামীর কাছে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলে বেরিয়ে গিয়েছিলেন যুবক। কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও স্বামী আর ফেরেননি। ফোনেও যোগাযোগ করেননি। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে চরম পদক্ষেপ করলেন ২২ বছরের তরুণী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার পানিপথে। পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন তরুণী। স্বামীই জোরাজুরি করেছিলেন, চাকরি ছেড়ে তাঁর কাছে এসে থাকার জন্য। স্বামীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে রাতারাতি চাকরি ছেড়ে দেন। বেঙ্গালুরু থেকে পানিপথে ছুটে এসেছিলেন। হোটেলে দেখা করার পরেই স্বামী বেরিয়ে যান। আর ফিরে আসেননি। অবশেষে সেই হোটেলের ঘরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হন তরুণী। অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তরুণীর কাকা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্কুলে থাকাকালীন এই প্রেমের সম্পর্কের শুরু হয়েছে। একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন তাঁরা প্রেমে পড়েন। দু'বছর পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর গাজিয়াবাদে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের পরেই অশান্তি শুরু হয়। দু'জনেই একটি অপহরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে পড়েন। জেল হেফাজতেও যান। পরে পরিবারের হস্তক্ষেপে জামিন পান।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বেঙ্গালুরুতে নার্সের চাকরি নিয়ে চলে যান তরুণী। দূর থেকেই স্বামীর সঙ্গে নিত্য যোগাযোগ ছিল তাঁর। সম্প্রতি সেই চাকরি ছেড়ে পানিপথে তাঁর কাছে আসতে বলেন যুবক। পানিপথের হোটেলে দেখা করার পর যুবক জানিয়েছিলেন, তিনি বাড়ি থেকে জামাকাপড় নিয়ে শীঘ্রই ফিরে আসবেন। কিন্তু তারপর আর আসেননি। এমনকী তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। স্বামী প্রতিশ্রুতি ভাঙায় মানসিক চাপে আত্মঘাতী হন তরুণী।
