আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাইট ফ্রাঙ্ক ওয়েলথ রিপোর্ট ২০২৫ অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতে উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের (HNWIs) সংখ্যা ৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে যাদের সম্পত্তি ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি, তাঁদের সংখ্যা গত বছর ৮০,৬৮ থেকে বেড়ে ৮৫,৬৯৮ হয়েছে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৯৩,৭৫৩ এ পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২৪ সালে ভারতে নতুন ২৬ জন কোটিপতির অন্তর্ভুক্তির সাথে দেশের কোটিপতির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, বিনিয়োগের সুযোগ এবং বিলাসবহুল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটাই দেশের পুরো অর্থনৈতিক চিত্র নয়।

ইন্দাস ভ্যালি রিপোর্ট ভারতে অর্থনৈতিক বিভাজনকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করেছে। প্রথম শ্রেণী, যাকে 'ইন্ডিয়া ১' বলা হয়েছে, দেশের জনসংখ্যার শীর্ষ ১০% অংশকে বোঝায়, যারা মেক্সিকোর অর্থনৈতিক অবস্থার স্তরে আছে। দ্বিতীয় শ্রেণী, 'ইন্ডিয়া ২', ইন্দোনেশিয়ার মতো অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে। আর তৃতীয় শ্রেণী, 'ইন্ডিয়া ৩', দেশের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীকে বোঝায়, যারা সাব-সাহারান আফ্রিকার মতো দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।

ইন্দাস ভ্যালি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের অধিকাংশ মানুষ 'ইন্ডিয়া ৩' শ্রেণীতে পড়ে, যেখানে তাঁরা কোনো রকম চাকরির নিরাপত্তা বা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুবিধা পায় না। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতে ২০২৪ সালে ১৯১ জন কোটিপতি রয়েছে, যা ২০১৯ সালের মাত্র ৭ জন কোটিপতি থেকে ২৬২৮.৫৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।

নাইট ফ্রাঙ্ক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে ৩.৭% ভারতীয় এবং ভারত এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানের পরে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালে ভারতের কোটিপতিদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ $৯৫০ বিলিয়ন, যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মূল চীনের পরে।

ইন্দাস ভ্যালি রিপোর্ট আরও ইঙ্গিত দিয়েছে যে, যদি ভারতের বিভিন্ন অর্থনৈতিক শ্রেণীকে আলাদা দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে 'ইন্ডিয়া ১' বিশ্বের ১০ম জনবহুল দেশ হিসেবে গণ্য হবে, যেখানে ১৪০ মিলিয়ন মানুষ বাস করে এবং তাঁদের মাথাপিছু আয় ১৫,০০০ ডলার। এই অর্থে, তাঁরা বিশ্বের মাথাপিছু আয়ের তালিকায় ৬৩তম স্থানে থাকবে, আর বাকি ভারত ১৪০তম স্থানে।