আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্পর্কে তিক্ততা বাড়লে, বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন বহু দম্পতি। আইন মেয়েদের পক্ষে থাকায়, খানিকটা সুযোগ, সুবিধা পান তাঁরা। তবে ডিভোর্স খোরপোশের কারণে মানসিক চাপ বাড়ছে ছেলেদের।কিছু ক্ষেত্রে রীতিমতো মাথায় হাত পড়ে ছেলেদের। খোরপোশের চাপে চরম পদক্ষেপ নিতেও বাধ্য হন কেউ কেউ। যেমন, অতুল সুভাষ। 

পেশায় ইঞ্জিনিয়ার অতুল ডিভোর্স খোরপোশের চাপে, স্ত্রীর দায়ের করা পরপর মামলার জেরে আত্মঘাতী হলেন। তাঁর মৃত্যুর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে সবচেয়ে ট্রেন্ডিং #JusticeforAtulSubhash। অতুলের এমন মর্মান্তিক পরিণতির পর মুখ খুলেছেন ছেলেরাও। ডিভোর্স খোরপোশের চাপে অতুলের মতো পরিণতি যে কারও হতে পারে বলে দাবি অনেকের। 

সাংবাদিক ও পুরুষ অধিকার কর্মী দীপিকা নারায়ণ ভারদ্বাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, বহু ছেলে তাঁকে অতুলের প্রসঙ্গ টেনে সাহায্যের আবেদন করেছেন। তাঁরাও যে ডিভোর্স খোরপোশের চাপে বিধ্বস্ত, সে কথা তুলে ধরেছেন। একজন দীপিকাকে লিখেছেন, 'অতুলের পর বোধহয় আমি। স্ত্রী ডিভোর্স এবং পণের মামলা দায়ের করেছেন আমার বিরুদ্ধে। মামলায় বিচারপতিও আমার বয়ান শুনতে চাইছেন না। এই মামলায় আমাদের একমাত্র বাড়িটিও স্ত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই বাড়িটি আমার বাবা-মায়ের সম্পত্তি। সেটি হাতছাড়া হলে, আমাদের আর মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে না। নিজেকে শেষ করার চিন্তা আমার মাথাতেও আসে। জানি না এর শেষ কোথায় হবে।' 

একজন লিখেছেন, 'অতুলের মতো পরিণতি আমারও হতে পারে। আত্মহত্যার চেষ্টা করেও পিছিয়ে এসেছি। কারণ বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দায়দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাঁদের কথা মাথায় রেখে কোনও চরম পদক্ষেপ করতে পারি না। কিন্তু ডিভোর্সের মামলায় বিপর্যস্ত হয়ে আছি।' 

একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, 'বিচার শেষপর্যন্ত অধরাই থাকে। অতুলের ক্ষেত্রেও অন্যথা হবে না, এমনটা আমার ধারণা। আমার স্ত্রী আলাদা করে এফআইআর দায়ের করেছেন। ডিভোর্স খোরপোশ হিসেবে ৭৩৫ লক্ষ টাকা চেয়েছেন। আমার বিরুদ্ধেও ন'টি মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী। নাইট সিফটে কাজ করে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি। এখন আর বাড়তি চাপ সামলানোর মতো মানসিক অবস্থা থাকে না।' 

প্রসঙ্গত, ডিভোর্স খোরপোশ হিসেবে অতুলের থেকে তাঁর স্ত্রী তিন কোটি টাকা চেয়েছিলেন। বহু ছেলেরাই জানিয়েছেন, চাকরি যাই হোক, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করলেই কোটি কোটি টাকা খোরপোশ চাওয়াটাই নতুন ট্রেন্ড।