আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজা ও সোনম। বিয়ে এবং বিয়ের পরিবর্তী মধুচন্দ্রিমা। আর সেখানেই বদলে গিয়েছে যাবতীয় সমীকরণ। যদিও ঘটনায় দিনে দিনে যা নাটকীয় মোড় উঠে আসছে, তাতে স্পষ্ট যাবতীয় সমীকরণ বদলে ফেলতে, নিখুঁত পরিকল্পনা কষা হয়েছিল সময় নিয়েই।

সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রাজা  রঘুবংশীর সুরতহালের রিপোর্ট, মাথার সামনে এবং পিছন থেকে দু’ বার আঘাত করা হয়েছিল তাঁকে। 

১১ মে রাজা ও সোনম গাঁটছড়া বাঁধেন।‌ এরপর মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে যান। ২৩ মে থেকে নবদম্পতির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২ জুন পাহাড়ি গভীর খাদ থেকে রাজার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই তারা জানায়, পরিকল্পনামাফিক যুবককে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিখোঁজ স্ত্রীয়ের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। পরিবারের আশঙ্কা ছিল, সোনমকে সম্ভবত অপহরণ করা হয়েছে। ধর্ষণ করে, খুন করে মাটিতেও পুঁতে দিতে পারে। 


সোমবার মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ বছরের সোনম রঘুবংশী ও ২১ বছরের রাজ এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, রাজের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সোনমের। মেঘালয়ে ঘুরতে যাওয়ার পর রাজকে হোয়াটসঅ্যাপে লাইভ লোকেশন পাঠিয়েছিলেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডে আরও একাধিক তরুণ জড়িত রয়েছে। সোনম ছাড়াও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি এমনভাবে সোনম ও রাজ সাজিয়েছিলেন, যেন দেখলে মনে হবে রাজাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। 


রাজা রঘুবংশীর পরিবারের দাবি, ১১ মে বিয়ে করে ২০ মে মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশে রওনা দেন রাজা ও সোনম। মধুচন্দ্রিমায় কোথায় ঘুরতে যাওয়া হবে, সবকিছু পরিকল্পনা করেছিলেন সোনম। পরিবার জানত, প্রথমে গুয়াহাটিতে পৌঁছে কামাখ্যা মন্দিরে তাঁরা যাবেন। কিন্তু পরে জানা যায়, সোজা শিলংয়ে চলে যান তাঁরা। এমনকী মেঘালয় থেকে ফেরার টিকিট সোনম কাটেননি। 


রাজার মা জানিয়েছেন, ১০ লক্ষ টাকার গয়না পরে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন রাজা। হিরের আংটি থেকে সোনার হার, সবকিছু পরে মধুচন্দ্রিমায় যেতে বাধ্য করেছিলেন সোনম। এমনকী তিনিও বিয়ের গয়না পরেই বেড়াতে গিয়েছিলেন। সম্ভবত, সমস্ত গয়না নিয়ে পালানোর উদ্দেশ্যেই এমন পরিকল্পনা করেছিলেন।