আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিনে দিনে নতুন তথ্য। একদিকে তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য সামনে আনছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অন্যদিকে পরিবারের সদস্যরাও বিস্ফোরক তথ্য দিচ্ছেন সংবাদ মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই সোনম-রাজার বিয়ের দিন, মধুচন্দ্রিমা, কীভাবে খুনের পরিকল্পনা? সেসব তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, কীভাবে বিয়ে হয় দু’ জনের। এবার জানা গিয়েছে, কোন অস্ত্র দিয়ে হানিমুনে গিয়ে খুন করা হয়েছিল রাজাকে।
পুলিশ ইতিমধ্যে ওই অস্ত্র উদ্ধার করে ছবি প্রকাশ্যে এনেছে বলে খবর সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে বিশাল চৌহান প্রথমে চাপাতি দিয়ে রাজার উপর আক্রমণ করে। তারপর বারবার ওই অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়। ওই মুহূর্তেও রাজা নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল বলেও দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, গুয়াহাটি রেল স্টেশনের কাছে ওই অস্ত্রটি কেনা হয়েছিল।
এর আগেই সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল, রাজা রঘুবংশীর সুরতহালের রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে, মাথার সামনে এবং পিছন থেকে দু’ বার আঘাত করা হয়েছিল তাঁকে।
১১ মে রাজা ও সোনম গাঁটছড়া বাঁধেন। এরপর মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে যান। ২৩ মে থেকে নবদম্পতির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২ জুন পাহাড়ি গভীর খাদ থেকে রাজার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই তারা জানায়, পরিকল্পনামাফিক যুবককে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিখোঁজ স্ত্রীয়ের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। পরিবারের আশঙ্কা ছিল, সোনমকে সম্ভবত অপহরণ করা হয়েছে। ধর্ষণ করে, খুন করে মাটিতেও পুঁতে দিতে পারে।
সোমবার মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ বছরের সোনম রঘুবংশী ও ২১ বছরের রাজ এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, রাজের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সোনমের। মেঘালয়ে ঘুরতে যাওয়ার পর রাজকে হোয়াটসঅ্যাপে লাইভ লোকেশন পাঠিয়েছিলেন তিনি।
