আজকাল ওয়েবডেস্ক: তদন্ত যত এগোচ্ছে, দিনে দিনে উঠে আসছে মোর ঘোরানো তথ্য। তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে, এই মুহূর্তে তদন্তের স্বার্থে ছোট-বড় সব তথ্যই অতি গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনা স্থানীয় ট্যুর গাইডের মন্তব্য নিয়েও।


সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, স্থানীয় ট্যুর গাইড অ্যালবার্ট পিডি জানিয়েছেন, ২৩শে মে সকাল ১০টার দিকে মাওলাখিয়াত এলাকার কাছে রাজা এবং তার স্ত্রী সোনম রঘুবংশীকে দেখতে পান তিনি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন তিনজন অজ্ঞাত হিন্দিভাষী পুরুষ। পরে কল ডেটা রেকর্ড এবং লোকেশন ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হয়, রাজাকে জীবিত অবস্থায় সেখানেই শেষ দেখা গিয়েছিল। সূত্রের খবর।, অ্যালবার্ট তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ২২ তারিখেও সোনম, রাজার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তবে তাঁরা তাঁর গাইড নিতে চাননি একেবারেই। তাঁর এই মন্তব্যই মূলত সোনমকে আতস কাঁচের তলায় এনে দেয়। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১১ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজা ও সোনম। এর ঠিক পাঁচদিন পর রাজ তাঁর ছোটবেলার তিন বন্ধু আনন্দ, আকাশ ও বিশালকে একটি ক্যাফেতে ডাকেন। রাজাকে খুনের পরিকল্পনা জানান। এমনকী বিপুল অর্থের লোভ দেখিয়েছিলেন তাঁদের। 
২০ মে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশে রওনা হন রাজা ও সোনম। হাতে ছিল শুধুমাত্র যাওয়ার টিকিট। ফেরাটা ছিল অনিশ্চিত। তাঁদের পিছু নিয়েছিলেন বাকি তিনজন। গুয়াহাটি পৌঁছেই শিলংয়ে চলে যান তিন ভাড়াটে খুনি। সোনম ও রাজার হোমস্টের পাশেই একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা। 


শিলং পৌঁছে তিনদিন পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে বেড়ান সোনম ও রাজা। ২৩ মে একটি নির্জন এলাকায় ফটোশুটের ছুতোয় রাজাকে নিয়ে গিয়েছিলেন সোনম। সেই জায়গায় পৌঁছন আনন্দ, আকাশ ও বিশাল। এমনকী রাজার সঙ্গে হিন্দিতে কথাও বলেন তাঁরা।  


সূত্রের খবর, সেই এলাকায় পৌঁছে সোনম জানান, তিনি ক্লান্তি বোধ করছেন। ক্লান্ত হওয়ায় রাজার পিছনে পিছনে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটছিলেন। আরও খানিকটা হাঁটার পর আরও শুনশান একটি জায়গায় পৌঁছে যান পাঁচজনে। সেখানেই রাজাকে খুন করার জন্য চিৎকার করে তিনজনকে ডাকেন। মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড।‌