আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোনম, তার প্রেমিক রাজ এবং বিশাল,আনন্দ, আকাশ রাজপুতকে বুধবার শিলং জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ১০ দিনের হেফাজত চেয়েছিল, আদালত আটদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জেরায় সোনম স্বীকার করেছে স্বামীকে খুনের কথা। দিনে দিনে মোড় ঘুরছে মেঘালয় হত্যা মামলার। প্রায় ন' ঘণ্টার পরিকল্পনা করে, কীভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছিল রাজাকে সোনম-রাজ, তা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হতবাক সাধারণ মানুষ।
একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মেঘালয় পুলিশ সোনমকে জেরা করে। সিটের জেরা চলাকালীন খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছেন সোনম। তারপরেই তাদের তোলা হয় আদালতে।
অন্যদিকে সোনমের দাদারা জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের বোনের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সোনমের দাদা গোবিন্দ এদিন রাজার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বলেন, যদি তাঁদের বোন দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে ফাঁসি হলেও, পরিবার কিছু বলবে না।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১১ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজা ও সোনম। এর ঠিক পাঁচদিন পর রাজ তাঁর ছোটবেলার তিন বন্ধু আনন্দ, আকাশ ও বিশালকে একটি ক্যাফেতে ডাকেন। রাজাকে খুনের পরিকল্পনা জানান। এমনকী বিপুল অর্থের লোভ দেখিয়েছিলেন তাঁদের। 
 
 ২০ মে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশে রওনা হন রাজা ও সোনম। হাতে ছিল শুধুমাত্র যাওয়ার টিকিট। ফেরাটা ছিল অনিশ্চিত। তাঁদের পিছু নিয়েছিলেন বাকি তিনজন। গুয়াহাটি পৌঁছেই শিলংয়ে চলে যান তিন ভাড়াটে খুনি। সোনম ও রাজার হোমস্টের পাশেই একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা। 
শিলং পৌঁছে তিনদিন পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে বেড়ান সোনম ও রাজা। ২৩ মে একটি নির্জন এলাকায় ফটোশুটের ছুতোয় রাজাকে নিয়ে গিয়েছিলেন সোনম। সেই জায়গায় পৌঁছন আনন্দ, আকাশ ও বিশাল। এমনকী রাজার সঙ্গে হিন্দিতে কথাও বলেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, সেই এলাকায় পৌঁছে সোনম জানান, তিনি ক্লান্তি বোধ করছেন। ক্লান্ত হওয়ায় রাজার পিছনে পিছনে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটছিলেন। আরও খানিকটা হাঁটার পর আরও শুনশান একটি জায়গায় পৌঁছে যান পাঁচজনে। সেখানেই রাজাকে খুন করার জন্য চিৎকার করে তিনজনকে ডাকেন। মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড।
