আজকাল ওয়েবডেস্ক: সময় যত এগোচ্ছে, দিনে দিনে ততই নাটকীয় মোড় নিচ্ছে মেঘালয় মার্ডার মিস্ট্রি। এবার সামনে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, স্বামীর দেহ খুন করিয়ে চোখের সামনে খাদে ফেলার পর, তাঁর ফেসবুক থেকেই পোস্ট দিয়েছিলেন সোনম। তাতে লিখেছিলেন, ‘সাত জন্মো কা সাথ’, অর্থাৎ সাত জন্মের সম্পর্ক। স্বাভাবিক ভাবেই স্পষ্ট, রাজার অস্তিত্ব রয়েছে, তার প্রমাণেই সোনমের এই পরিকল্পনা। ২৩ মে, যেদিন থেকে তাঁদের আর খোঁজ মিলছিল না, পরে জানা গিয়েছে যেদিনেই খুন করা হয়েছিল রাজাকে, সেদিনই দুটো ১৫ নাগাদ এই পোস্ট করা হয়ে রাজার অ্যাকাউন্ট থেকে।
রাজা ও সোনম। বিয়ে এবং বিয়ের পরিবর্তী মধুচন্দ্রিমা। আর সেখানেই বদলে গিয়েছে যাবতীয় সমীকরণ। যদিও ঘটনায় দিনে দিনে যা নাটকীয় মোড় উঠে আসছে, তাতে স্পষ্ট যাবতীয় সমীকরণ বদলে ফেলতে, নিখুঁত পরিকল্পনা কষা হয়েছিল সময় নিয়েই।
 
 সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রাজা  রঘুবংশীর সুরতহালের রিপোর্ট, মাথার সামনে এবং পিছন থেকে দু’ বার আঘাত করা হয়েছিল তাঁকে। 
 
 ১১ মে রাজা ও সোনম গাঁটছড়া বাঁধেন। এরপর মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে যান। ২৩ মে থেকে নবদম্পতির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২ জুন পাহাড়ি গভীর খাদ থেকে রাজার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই তারা জানায়, পরিকল্পনামাফিক যুবককে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিখোঁজ স্ত্রীয়ের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। পরিবারের আশঙ্কা ছিল, সোনমকে সম্ভবত অপহরণ করা হয়েছে। ধর্ষণ করে, খুন করে মাটিতেও পুঁতে দিতে পারে। 
 
 সোমবার মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ বছরের সোনম রঘুবংশী ও ২১ বছরের রাজ এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, রাজের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সোনমের। মেঘালয়ে ঘুরতে যাওয়ার পর রাজকে হোয়াটসঅ্যাপে লাইভ লোকেশন পাঠিয়েছিলেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডে আরও একাধিক তরুণ জড়িত রয়েছে। সোনম ছাড়াও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি এমনভাবে সোনম ও রাজ সাজিয়েছিলেন, যেন দেখলে মনে হবে রাজাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে।
