আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজা রঘুবংশীকে বিয়ে করেছিলেন সোনম রঘুবংশী। পরিবারের জোরাজুরিতে বিয়ে করলেও, স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা মনে মনে সাজিয়ে ফেলেছিলেন সোনম। তাই মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ের নির্জন এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এদিকে যোগাযোগ রেখেছিলেন আরও তিনজনের সঙ্গে। সোনম সহ চারজন মিলে ঠান্ডা মাথায় খুন করেন রাজাকে। এমনভাবে পরিকল্পনা করেছিলেন, যাতে সোনমকে কেউ সন্দেহ না করেন। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, রাজা খুনের অভিযোগে স্ত্রী সোনম সহ চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১১ মে রাজা ও সোনাম গাঁটছড়া বাঁধেন।‌ এরপর মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে যান। ২৩ মে থেকে নবদম্পতির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২ জুন পাহাড়ি গভীর খাদ থেকে রাজার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই তারা জানায়, পরিকল্পনামাফিক যুবককে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিখোঁজ স্ত্রীয়ের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। পরিবারের আশঙ্কা ছিল, সোনমকে সম্ভবত অপহরণ করা হয়েছে। ধর্ষণ করে, খুন করে মাটিতেও পুঁতে দিতে পারে। 

 

অবশেষে সেই সোনমের খোঁজ মিলল উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, গাজিপুরের একটি ধাবা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোনম গতকাল বাড়িতে ফোন করেছিলেন। বাড়ির সদস্যরা পুলিশকে জানান। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কী কারণে রাজাকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন, তা ঘিরে জেরা শুরু করবে পুলিশ। 

 

তবে সূত্রের খবর, বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন সোনম। তাই রাজাকে বিয়েও করতে চাননি। পরিবারের চাপে বিয়ে করেই খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। রাজাকে খুনের জন্য সেই যুবক জড়িত থাকতে পারে। বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে নির্জন এলাকায় গিয়েছিলেন। তাঁদের পিছু নিয়েছিলেন বাকি তিনজন। খুনের পরেই ভিন রাজ্যে পালিয়ে যান তাঁরা।