আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধুমধাম করে সারা হয়েছিল বিয়ে। গত ১১ মে রাজা ও সোনাম গাঁটছড়া বাঁধেন।এরপর মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে যান। ২৩ মে থেকে নবদম্পতির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২ জুন ওয়েই সাওডং জলপ্রপাতের কাছে সোহরা এলাকার পাহাড়ের খাদ থেকে রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ উদ্ধার করা পুলিশ। দেহ উদ্ধার হওয়ার এক সপ্তাহ পর মেঘালয় পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী সোনমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শেষ মুহুর্তে কী কী করেছিলেন দু’জনে-

• মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার একদিন আগে, রাজা এবং সোনম ২২ মে মেঘালয়ের মাওলাখিয়াত গ্রামে পৌঁছেছিলেন।

• পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দম্পতি একটি স্কুটার ভাড়া করে নংরিয়াত গ্রামে যান। সেখানে তাঁরা বিখ্যাত জীবন্ত শিকড়ের সেতুগুলি দেখার জন্য তিন হাজার সিঁড়ি বেয়ে খাদে নেমেছিলেন।

• তাঁরা গ্রামের একটি হোমস্টেতে রাত কাটান। পরের দিন অর্থাৎ ২৩শে মে সকালে সেখান থেকে চলে যান। হোমস্টে থেকে ২০ কিমি দূরে রাজার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

• তাঁদের ভাড়া করা স্কুটারটি পরের দিন ২৪শে মে শিলং থেকে সোহরার মাঝামাঝি রাস্তায় একটি ক্যাফের কাছে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

• এর পর পুলিশ তাঁদের নিখোঁজ হওয়ার খবর পায় এবং গ্রামের স্থানীয়দের সহায়তায় প্রাথমিক অনুসন্ধান অভিযান শুরু হয়।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় ৩০ মে উদ্ধারকারী দলগুলি অভিযান বন্ধ করে দেয়। ২৯, ৩০ এবং ৩১ মে সোহরায় প্রায় ৫০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর ২ জুন রাজার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তর-পূর্ব ইন্দিরা গান্ধী আঞ্চলিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।

২ জুন ড্রোনের মাধ্যমে স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও, সোনম নিখোঁজ ছিলেন। তাঁকে তন্নতন্ন করে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে তিনি উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের নন্দগঞ্জ থানায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। মেঘালয়ের ডিজিপি আই নোংরাং জানিয়েছেন, সোনম ছাড়াও রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ইন্দোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোনমের ‘প্রেমিক’ রাজ সিং কুশওয়াহাকে।

নোংরাং বলেন, “মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমার সময় ইন্দোরের এক ব্যক্তির খুনের সঙ্গে স্ত্রীর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে মিলে এই কাজটি করেছিলেন।" তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশ এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, অপরাধে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারির চেষ্টা চলছে।