আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নেবে না পরিবার, সমাজ। দুই সন্তান, স্বামীকে বাড়িতে রেখেই ১৯ বছরের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন যুবতী। দীপাবলির সন্ধ্যায় জঙ্গলে বিষপান করে আত্মঘাতী হলেন তাঁরা। যে ঘটনায় হতবাক গোটা এলাকার বাসিন্দারা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিজনুর জেলায় এক জঙ্গলের মধ্যে একসঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন এক বিবাহিত যুবতী ও তাঁর ১৯ বছর বয়সি এক প্রেমিক। দু'জনেই জঙ্গলের মধ্যে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। অচৈতন্য অবস্থায় দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন দু'জনের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার, দীপাবলির দিনেই হুসেনপুর গ্রামে। সেদিন বাড়ির সকল সদস্যরা উদযাপনে মেতেছিলেন। আরতি নামের এক যুবতী জগমোহন নামের এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কয়েক বছর আগে। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর ললিত নামের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণের প্রেমে পড়েন আরতি।
ললিত ও আরতি এক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। প্রেমের সম্পর্ক গোপন রেখেছিলেন। চুপিচুপি দেখা করতেন, কথা বলতেন। ক্রমেই গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয় দু'জনের সম্পর্ক নিয়ে। গ্রামের মধ্যে রটেও যায় সম্পর্কের কথা। গত ১০ অক্টোবর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ললিত ও আরতি। থানায় গিয়ে জগমোহন অভিযোগ জানান, আরতিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছেন ললিত। এরপর দু'জনেই উদ্ধার করে পুলিশ।
আদালতে আরতি জানান, তিনি জগমোহনের সঙ্গেই থাকতে চান। শ্বশুরবাড়িতেও ফিরে যাবেন। যোগাযোগ বন্ধ হলেও ললিতের প্রতি টান আরও বাড়তে থাকে আরতির। দীপাবলির আবহে দু'জনে ফের পালিয়ে সেই জঙ্গলে যান। সমাজ সম্পর্ক মেনে নেবে না, এই ধারণা থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। বিষপান করেন একসঙ্গে।
পুলিশ দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, ক্রমেই তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। এরপর বিজনুর মেডিক্যাল হাসপাতালে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় দু'জনের।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দাম্পত্য কলহের জেরে আরও এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। ভালবেসে বিয়ের পরেও নিত্যদিন অশান্তি। ঝামেলায় জেরবার দম্পতি। অবশেষে দুই বছরের শিশুকে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে চরম পদক্ষেপ করল তারা। একসঙ্গে ড্যামে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল দম্পতি। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলায়। শনিবার এক ড্যামে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় এক দম্পতি। চরম পদক্ষেপ করার আগে রাস্তার ধারে দুই বছরের শিশুকে রেখে গিয়েছিল তারা। পুলিশ আধিকারিক দেবকরণ দেহেরিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে বুকাখেদি ড্যামে। মৃতেরা হলেন শুভম কারদাতে (২৫) ও তাঁর স্ত্রী রোশনি (২৪)।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, চার বছর আগে ভালবেসেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শুভম ও রোশনি। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা বাড়তে থাকে। নিত্যদিনের অশান্তির জেরেই চরম পদক্ষেপ করেছে দম্পতি। শনিবার সকালে ঝগড়া, অশান্তির পর সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন রোশনি। তাঁর পিছু নেন শুভম। এরপর তাঁরা ওই ড্যামের কাছে পৌঁছে যান।
এরপর শুভম তাঁর মামাকে ফোন করেন। ফোন করে অনুরোধ করেন, তাঁর সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর ওই ড্যামে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় দম্পতি। আর রাস্তার ধারেই পড়েছিল দুই বছরের শিশু। ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন শুভ্রের বাবা। সেখানে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। কিন্তু ততক্ষণে শুভম ও রোশনির জীবন শেষ।
