আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার দিল্লি এইমস-এ ভর্তি করা হয় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লি এইমস-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘গভীর শোকের সঙ্গে জানানো হচ্ছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং প্রয়াত হয়েছেন। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাড়িতে তিনি হঠাৎ জ্ঞান হারান। সঙ্গে সঙ্গে ঘরেই চিকিৎসা শুরু করা হয়। এরপর তাঁকে রাত ৮টা বেজে ৬ মিনিটে দিল্লি এইমসের মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি বিভাগে আনা হয়। সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।‘

তবে, বৃহস্পতিবার প্রয়াত হলেও, শুক্রবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে না। বৃহস্পতিবারই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানান, শনিবার নয়াদিল্লির রাজঘাটে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। শুক্রবার সকালে মতিলাল নেহরু মার্গের বাসভবনে নিয়ে আসা হয়ে তাঁর দেহ। সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কংগ্রেস সূত্রে শুক্রবার সকালে জানা গিয়েছিল, শনিবার কংগ্রেসের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর মরদেহকে। সেখান থেকে রাজঘাটে মনমোহনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

কিন্তু কেন শুক্রবারের পরিবর্তে শনিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে? জানা গেল তার কারণ। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণের কথা জানিয়েছেন হাত শিবিরের নেতা সন্দীপ দীক্ষিত। তিনি জানিয়েছেন, এখনও সমস্ত কিছু ঠিক হয়নি। তবে মনমোহনের মেয়ে রয়েছেন বিদেশে। তিনি দেশে পৌঁছবেন শুরবার বিকেল-সন্ধে নাগাদ। তারপরে সিদ্ধনাত নেওয়া হবে, কখন সাধারণ মানুষ শেষবারের মতো দেখতে পাবেন প্রিয় মনমোহন সিং-কে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, মেয়ে দেশে ফেরার পর, সম্ভবত শনিবার সকাল আট-দশটা সাধারণ মানুষ শেষবার দেখতে পাবেন মনমোহনকে। যদিও এই সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত নয়। তাছাড়া ভাবাচ্ছে সেখানকার আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত। তবে সবকিছু চূড়ান্ত হবে তাঁর মেয়ে দেশে ফেরার পর, সূত্রের খবর তেমনটাই। 

১৯৩২ সালে পশ্চিম পাঞ্জাবের গাহ-তে (বর্তমানে পাকিস্তানে) পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মনমোহন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর আসেন এপারে। বরাবরই লেখাপড়ায় তুখোর ছিলেন মনমোহন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম হয়েছিলেন। এরপর অর্থনীতিতে ডক্টরেট করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।