আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ,  ভারত সরকারের বহু গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন এক সময়ে, দায়িত্ব সামলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের। আর সর্বক্ষণ তাঁর সঙ্গীর হয়ে থেকেছেন একজন মানুষ। তিনি গুরশরণ কৌর। ইতিহাসের অধ্যাপিকা, লেখিকা এবং একজন বিশিষ্ট কীর্তন শিল্পী। বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন মনমোহন। রেখে গেলেন গুরশরণ এবং তিন সন্তানকে।

কেমন ছিল মনমোহন-গুরশরণের পরিচয়ের প্রথম দিনগুলি? কীভাবেই বা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা? সময়টা ১৯৫৭। বিদেশ থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করে দেশে ফিরেছেন মনমোহন। পরিবার চিন্তিত তাঁর বিয়ে নিয়ে। শোনা যায় একসময় তিনি জানতে পারেন, তাঁর পরিবার এক মেয়ের কথা ভাবছেন, তিনি পড়াশোনা কম করলেও, বাড়ি থেকে পণ দেবে বিপুল পরিমাণে। শুনেই বেঁকে বসেন মনমোহন। সাফ জানিয়ে দেন, পণ চান না তিনি, চান সঙ্গী হোক শিক্ষিত। 

সেই সময়েই গুরশরণের দাদা, নিজের ছোট বোনের বিয়ের কথা বলেন মনমোহনকে। গুরশরণ তখন মন দিয়ে কীর্তন গান। একদিন দু’ জনে দেখা করলেন। প্রথম সাক্ষাতের দিন গুরশরণের পরনে ছিল সাদা সালোয়ার কামিজ। শোনা যায়, প্রথম দেখাতেই মন জয় করেছিলেন মনমোহনের। এর পর এক অনুষ্ঠানে তাঁর কীর্তন শোনেন মনমোহন, জানতে পারেন তিনি ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। ধীরে ধীরে পরিচিতি বাড়তে থাকে দু’ জনের।

গুরশরণ কৌর পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এক সকালে তাঁকে মনমোহন তাঁকে বাড়িতে ডাকেন, ইংরেজি জলখাবার খাইয়ে মন পাওয়ার চেষ্টা করেন। ১৯৫৮ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।