আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লি হাই কোর্ট সোমবার মনজিৎ কারকেত্তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে, যিনি ২০১৮ সালের মে মাস থেকে জেলে ছিলেন এক মহিলার খুনের অভিযোগে। অথচ, পরে জানা যায় সেই মহিলা—সোনি ওরফে ছোটি—জীবিত রয়েছেন এবং আজও নিহত মহিলার পরিচয় জানা যায়নি।

বিচারপতি গিরিশ কাঠপালিয়া তাঁর রায়ে মন্তব্য করেন, “এই মামলার তদন্ত আদালতের বিবেককে নাড়া দেয়।” তিনি আরও বলেন, তদন্তে দায়িত্বশীল সিনিয়র পুলিশ অফিসাররাও সঠিকভাবে নজরদারি করেননি।

মনজিতের আইনজীবী আদালতে জানান, অভিযুক্ত ছয় বছর ধরে জেলে থাকলেও এখনো জানা যায়নি তিনি কাকে হত্যা করেছেন।

২০১৮ সালে মিয়ানওয়ালি থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়, যাতে বলা হয়, এক মহিলার দেহ টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে ফেলে দেওয়া হয়। তখন মৃতদেহটি সোনি ওরফে ছোটির বলে চিহ্নিত হয়, কিন্তু পরে দেখা যায় তিনি জীবিত।

আদালত রায়ে বলে, “একজন মানুষের এমন নৃশংসভাবে মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক, কিন্তু এত বছর পরও নিহতের পরিচয় না মিললে কেবলমাত্র সেই কারণে মনজিতের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া যায় না।”