আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের দোরগোড়ায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন 'মহাযুতি' জোট। গত লোকসভা নির্বাচনে এই মহারাষ্ট্রেই ধাক্কা খেয়েছিল। পাঁচ মাসের মধ্যে সেই চিত্র বদলে গেল সম্পূর্ণ। মহারাষ্ট্রে বিজয়রথ দৌড়ল এনডিএ-র। মহারাষ্ট্রে এ বার ভোট পড়েছিল ৬৫.০৫ শতাংশ। যা অন্যান্য বারের চেয়ে বেশি। ভোটের এই হারেই কিছুটা আত্মবিশ্বাসী ছিল এনডিএ। এই ভোট যেমন মহারাষ্ট্রের রাজনীতির জটিল ভোট ছিল, তেমনই প্রেস্টিজ ফাইট ছিল উদ্ধবের জন্য। এমন কি শরদ পাওয়ারের জন্যও। শনিবারের ফলাফল বলছে যেমন লোকসভা ভোটের ফলাফল উল্টে গেল মহারাষ্ট্রে, তেমনই ক্রমেই সেখানকার রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার দিকে এগোল ঠাকরে পরিবারের শিবসেনা। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, উদ্ধবের শিবসেনা এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপির আসন সংখ্যা পাঁচ ভাগের এক ভাগে দাঁড়াবে।
২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে জাদুসংখ্যা ১৪৫। শনিবার দুপুরের পরেই ভোটচিত্র মোট স্পষ্ট হয়ে যায় যে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসতে চলছে 'মহাযুতি' জোট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজেপি, শিবসেনা (শিন্ডে গোষ্ঠী), এনসিপি (অজিত গোষ্ঠী) এগিয়ে রয়েছে ২৩১টি আসনে। এর মধ্যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৩৩টি আসনে। এর মধ্যে ৯৫টি আসনে ইতিমধ্যেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। শিবসেনা এগিয়ে রয়েছে ৫৭টি আসনে। এর মধ্যে ৪৪টি আসনে জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তাদের। এনসিপি এগিয়ে রয়েছে ৪১টিতে। এর মধ্যে ৩৫টি আসনে জয়লাভ করেছে অজিত পাওয়ারের দল। অন্যদিকে, কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী), এনসিপি (শারদ গোষ্ঠী)-র ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’ জোট এগিয়ে ৪৭টি আসনে।
কোপরি-পাচপাখাডিতে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৫০৭ ভোটে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন শিবসেনা প্রার্থী (উদ্ধব গোষ্ঠী) কেদার প্রকাশ দিঘে। পুনের বারামতীতে এগিয়ে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন ভাইপো যুগেন্দ্র পাওয়ার। যুগেন্দ্রকে সমর্থন করছে শারদ পাওয়ারের গোষ্ঠী। গণনার শুরু থেকেই তিনি এগিয়ে ছিলেন। তবে বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্র থেকে পিছিয়ে সদ্য নিহত এনসিপি নেতা (অজিত গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকির পুত্র জিশান সিদ্দিকি। তাঁর বিরুদ্ধে শিবসেনার (উদ্ধব গোষ্ঠী) টিকিটে লড়ছেন উদ্ধবের ভাইপো বরুণ সরদেশাই। তিনি ওই কেন্দ্র থেকে দু’লক্ষেরও বেশি ভোটে এগিয়ে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। পরে তিনি এনসিপিতে (অজিত গোষ্ঠী) যোগ দেন।
জয় নিশ্চিত হতেই মহারাষ্ট্রের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, "ঐতিহাসিক ফলাফল। উন্নয়ন এবং সুশাসন সব সময় জিতে যায়। মহারাষ্ট্রের সকল ভাই এবং বোনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। বিশেষ করে যুব সমাজ এবং মহিলাদের। আমাজের জোট মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে। এই বিষয়ে আমি আশ্বাস দিচ্ছি। জয় মহারাষ্ট্র।"
