আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সঞ্জয় শিরসাটের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে উত্তাল মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, অন্তর্বাস পরে ঘরে বসে ধূমপান করছেন মন্ত্রী। তাঁর পাশেই একটি বড় ট্রলি ব্যাগ, তাতে ঠাসা নগদ টাকা রয়েছে। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার ঠিক একদিন আগেই ওই মন্ত্রী আয়কর দপ্তরের নোটিস পেয়েছিলেন। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আচমকা সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়ে আয়কর বিভাগ থেকে নোটিশ দেওয়া হয় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারের মন্ত্রী শিরসাটকে।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">July 11, 2025

ভিডিওটি প্রকাশ্যে এনেছেন শিব সেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে আক্রমণ করে সোশাল মিডিয়ায় রাউত লেখেন, 'দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্য খুব খারাপ লাগছে। আর কত বার চুপ করে বসে দেখবেন নিজের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে? অসহায়তার আরেক নাম ফড়নবিশ!'

তাঁর পাশের ব্যাগে টাকা নয়, জামাকাপড় ছিল বলে দাবি করেছেন সঞ্জয় শিরসাট। তিনি বলেছেন, "কেউ একজন আমার নামে আয়কর দফতরে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমি নোটিশ পেয়েছি। কিছু ভুল করিনি। সময় চেয়ে নিয়েছি, সমস্ত তথ্য দিয়ে উত্তর দেব।"

তবে, শিব সেনা (ইউবিটি)-র আরেক নেতা আদিত্য ঠাকরে আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, 'এটা শুধু সঞ্জয় শিরসাটের ব্যাপার নয়। এখানে তো অন্তর্বাস পরে বসে আছেন মন্ত্রী, পাশে নগদ টাকার ব্যাগ। এই টাকা কোথা থেকে এল? কে দিল? আর যে ভিডিও-র আগেই আয়কর নোটিস এসেছে, সেই দফতর কি তদন্ত করবে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কিছু হবে কি এক্ষেত্রে?"

শিরসাট প্রথমে দাবি করেন, উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ছেলে তথা সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডেও নাকি একই ধরনের নোটিস পেয়েছেন। পরে অবশ্য এই মন্তব্য থেকে সরে এসে জানান, তিনি এমন বলতে চাননি। তাঁর কাছে শ্রীকান্তকে নিয়ে কোনও তথ্য নেই।

অন্যদিকে, একটি পুরনো ভিডিওতে শিরসাটকে একটি অনুষ্ঠানে কৌতুকের ঢঙে বলতে শোনা গিয়েছে, "এখন আর কালো টাকা কোনও কাজে লাগে না। আমি নিজে বলছি। টাকা রোজগার করা সহজ, কিন্তু খরচ করা কঠিন হয়ে গিয়েছে।" যা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন দর্শকরা। পরে অবশ্য শিরসাট এর প্রেক্ষিতে যুক্তি দেন, তিনি মজার ছলে বলেছিলেন। সেটা নিয়ে এত ভাবার কিছু নেই।

স্যুটকেসের তদন্তে নেমেছে আয়কর দফতর। এই ভিডিও এবং টাকার খবরে অস্বস্তিতে পড়েছে মহারাষ্ট্রের শাসকদল বিজেপি।