আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৪৪ বছর পর বিশেষ তিথিতে প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা। পরিসংখ্যান বলছে, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারে মহাকুম্ভে ভক্তের সংখ্যা বেড়েছে অনেক বেশি। ক্রমশ তা বেড়েই চলেছে। ফলে, মেলা শেষের আগে সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের চাহিদাকে মাথায় রেখে প্রয়াগরাজ যাওয়ার বিমানের টিকিটের দাম বর্তমানে আকাশছোঁয়া। বিমানভাড়া নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা না থাকার কারণে সংস্থাগুলি টিকিটের দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, চেন্নাই থেকে প্রয়াগরাজে যাওয়া ও আসার টিকিটের দাম ৬৪,০০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
যা কিনা মালদ্বীপ বা বালির মত জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার খরচের তুলনায় অনেক বেশি। দিল্লি, কলকাতা, বেঙ্গালুরুর মত অন্যান্য শহর থেকেও প্রয়াগরাজে যাতায়াতের জন্য বিমানের টিকিটের দাম ৩৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। মহাকুম্ভ মেলার গুরুত্বপূর্ণ স্নানের দিনগুলিতে এই ভাড়া বৃদ্ধির প্রবণতা আরও বেশি চোখে পড়ছে। মউনি অমাবস্যা স্নান (২৯ জানুয়ারি), বসন্ত পঞ্চমী (৩ ফেব্রুয়ারি), মাঘী পূর্ণিমা (১২ ফেব্রুয়ারি), এবং মহাশিবরাত্রির দিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটেছে বিমান ভাড়ার। যে কারণে ৩১ জানুয়ারির আশেপাশে দিল্লি থেকে প্রয়াগরাজে যাওয়া এবং আসার টিকিটের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯,৬০০ টাকায়।
অন্যান্য সময়ে টিকিটের দাম থাকে ৯০০০ টাকার আশেপাশে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে জানুয়ারিতে প্রয়াগরাজ যাওয়ার জন্য ৮১টি অতিরিক্ত বিমান চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে, এই সময়ে মালদ্বীপের মত জায়গা থেকে ফেরার টিকিটের খরচ ৩০,০০০ টাকারও কম। কিন্তু প্রয়াগরাজ যেতে গড়ে ৫০,০০০ টাকা খরচ রয়েছে। স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে ৩০০-৬০০ গুণ বেড়ে গিয়েছে ভাড়া। মাঘী পূর্ণিমার আগের দিন দিল্লি থেকে প্রয়াগরাজ যাওয়া ও আসার ভাড়া ৩৩,০০০ টাকা, হায়দরাবাদ/চেন্নাই/কলকাতা থেকে ৪০,০০০ টাকা এবং মুম্বাই বা বেঙ্গালুরু থেকে ভাড়া ৪৫,০০০ টাকারও বেশি।
