আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চার কেন্দ্রবিন্ধু হয়ে উঠেছে। এটি কোনওধরণের লড়াই, নাটকীয় প্রকাশ বা প্র্যাঙ্ক নয়। বরং একটি প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যরাতের সাক্ষাৎ কীভাবে আকস্মিক বিয়েতে রূপ নেয়, তাই নিয়ে। ঘটনাটি প্রকাশ পেতেই চারিদিকে চরম আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী রঞ্জিত সিংহের শেয়ার করা একটি ভিডিওর মাধ্যমে এটি নেটপাড়ায় প্রকাশ পায়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক অল্প বয়সী যুবক গভীর রাতে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান। এরপর তাঁর বাড়িতে চুপিচুপি ঢুকে পড়েন যুবক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তাঁর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। আচমকা প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা জেগে উঠে তাঁকে বাড়ির ভিতরে লুকিয়ে লুকিয়ে ঢুকতে দেখে নেন। 

এরপর ঘটে বিপত্তি৷ পরদিন সকালে পরিস্থিতি বাড়ির গণ্ডি ছাড়িয়ে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। তখন গ্রামবাসীদের ডেকে এনে একপ্রকার সামাজিক সালিশির মাধ্যমে এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যুবক ও যুবতীকে তৎক্ষণাৎ বিয়ে করতে হবে। ভিডিওতে দেখা যায়, যুবতী তাঁর প্রেমিকের কপালে তিলক দিচ্ছে। এখানেই শেষ নয়৷ এরপর ওই যুবক তাঁর প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন। তবে এহেন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে 'বর'এর মুখভঙ্গি। সেখানে আনন্দের বদলে স্পষ্ট বিস্ময় দেখা যায়। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, হয়তো ছেলেটির ইচ্ছা ছিল শুধু প্রেমিকার সঙ্গে সময় কাটানোর, বিয়ের কোনও পরিকল্পনা তাঁর এত দ্রুত ছিল না।

আরও পড়ুনঃ আচমকা বাড়িতে ঢুকে আট বছরের শিশুকে ভয়াবহ আক্রমণ পথকুকুরের, এরপর যা হল জানলে চমকে উঠবেন আপনিও

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি বার দেখা হয়েছে এবং লাখ লাখ লাইক ও মন্তব্য পেয়েছে। একজন মিডিয়া ব্যবহারকারী প্রকাশ সাহনি মন্তব্য করে বলেন, 'সব দোষ ওই বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখা করার।' অপর একজন ব্যবহারকারী পুরুষোত্তম, লিখেছেন, 'ভালোই করি, এসব ঝামেলা থেকে দূরে থেকে জিমে মন দিই।'

ঘটনাটি আরো অন্যদিকে মোড় নেয় যখন আরেকটি ফলো-আপ ভিডিওতে যুবককে বলতে শোনা যায়, তাঁর পরিবার এই বিয়ে মেনে না নিলেও তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে চান। 'আমি যেখানেই থাকি না কেন, ওঁকে নিয়ে থাকব,' বলেছেন যুবক। এই বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য বিভাগে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সীমা কুমারী নামের এক ব্যবহারকারী লেখেন, 'যে মা জন্ম দিয়েছে, সেই এখন ছেলের সুখ কেড়ে নিচ্ছে।' অন্য এক মন্তব্যে বলা হয়েছে, 'যারা মা-বাবার সম্মান করে না, তদের সমাজেও কেউ সম্মান করে না।' আবার বিজয় কুমার লিখেছেন, 'সাহস থাকলেই হয় না, জীবন গুছিয়ে নেওয়াটাও বড় ব্যাপার।'

আরও পড়ুনঃ 'ডে-আউটে' বেরিয়ে শহরের খ্যাতনামা স্কুলের তিন ছাত্র গায়েব! অবশেষে যেভাবে মিলল, জানলে চমকে উঠবেন

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেউ দেখছেন ভালোবাসার জয় হিসেবে, আবার কেউ দেখছেন একটি রাতের অপ্রয়োজনীয় দুঃসাহসিকতার ফলাফল হিসেবে। তবে যে দৃষ্টিভঙ্গিই হোক না কেন, এই ভিডিওটি বর্তমানে ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।