আজকাল ওয়েবডেস্ক: আদালত নাকি কুস্তির আখড়া। শুক্রবার সকাল থেকে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের দেওয়ানি আদালতের পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু, বেলা গড়াতেই পাল্টে যায় সব। একেবারে হইহই কাণ্ড। চলে বচসা, মারধর। পুলিশ এসে কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তাতেও অবশ্য ফুঁসছেন আইজীবীদের একাংশ। কেন এত রাগ?
জৌনপুরের মনিহা গ্রামের বাসিন্দা সালমান এক তরুণীকে নিয়ে তাদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের জন্য দেওয়ানি আদালতে এসেছিলেন। তবে, যুগল ভিন্ন ধর্মের। তা জানতে পেরেই, বেশ কয়েকজন আইনজীবী তীব্র আপত্তি তোলেন। হিন্দু তরুণীকে কেন বিয়ে করছেন একজন মুসলিম যুবক? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রথমে ওই আইনজীবীদের সঙ্গে সালমানের কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, এরপরই সালমানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ওই আইনজীবীরা।
গোলমাল বাড়তেই থাকে। আদালতের চত্বরে ভিড় জমে যায়। তখন ভয়ে কাঁটা সালমান এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা। এরপরই আর ঝুঁকি নেনি সালমান। ক্ষতি এড়াতে সালমান পরিবারের আত্মীয়দের নিয়ে আদলত চত্বর ছেড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়েই এসে পৌঁছয় পুলিশ। তবে আইনজীবীদের রোষ থেকে পুলিশও রেহাই পায়নি। সালমানের পক্ষে যাতে পুলিশ সওয়াল না করে তাই পুলিশকে সতর্ক করে দেন ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিন্দু তরুণীকে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর, মহিলার পরিবারের সদস্যরাও থানায় পৌঁছন। তাঁদের অভিযোগ করেন যে, সালমান তরুণীকে প্রতারণা করেছিলেন এবং মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করার চেষ্টা করছিলেন। মেয়েটির মা আরও দাবি করেছেন যে, সালমান অতীতেও এমন চেষ্টা করেছিলেন।
মহিলার বাবা-মা সালমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করার পর, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে।
