আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভার্চুয়াল শুনানি। ক্যামেরা চালুই ছিল। কিছুক্ষণেই হাজির হওয়ার কথা বিচারপতির। অপেক্ষা করছেন দুই পক্ষের আইনীজীবীরা। তার মধ্যেই ঘটল বিপত্তি। ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন এক আইনীজীবীর কীর্তি হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা ঘিরে সম্প্রতি জোর চর্চা। 

 

কী করেছেন আইনজীবী? 

 

ভার্চুয়াল শুনানি শুরুর ঠিক আগেই এক মহিলাকে জোর করে কাছে টেনে চুমু খেতে দেখা গেল এক আইনজীবীকে। তিনি দিল্লি হাই কোর্টের একজন আইনজীবী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আইনজীবীর কালো পোশাক পরেই নিজের ঘরে চেয়ারে বসে ছিলেন তিনি। সামনেই ল্যাপটপের ক্যামেরা চালু ছিল। তবে আইনজীবীর মুখটি একপাশে ঘোরানো ছিল। 

 

সেই ঘরেই ঢোকেন এক মহিলা। মহিলার হাত ধরে জোর করে কাছে টেনে নেন আইনজীবী। মহিলা প্রথমেই হকচকিয়ে গিয়ে বাধা দেন। খানিকটা পিছনে সরে গিয়ে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। আইনজীবী তারপরেই আবারও মহিলার হাত টেনে কাছে আনেন। তারপরেই চুমু খান একে অপরকে। 

 

আরও পড়ুন: পর্ন ছবি দেখার জন্য ছটফট! না দেখলে ঘুম আসে না? স্ট্রেস কমাতে গিয়ে বড় বিপদ ডাকছেন, সতর্ক করলেন চিকিৎসক

 

ভিডিওটি ঘিরে চর্চা হচ্ছে সর্বত্র। এখনও পর্যন্ত আইনজীবী ও ওই মহিলার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। তবে এখনও পর্যন্ত জানা গেছে, ওই আইনজীবী দিল্লি হাই কোর্টের। বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের থাকার কথা ছিল ওই ভার্চুয়াল শুনানিতে। ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার দু'ঘণ্টার মধ্যে প্রায় এক লক্ষ মানুষ দেখেছেন।‌

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">October 15, 2025

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। তখনও আদালতের ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়নি। মামলার দুই পক্ষের আইনজীবীরা বিচারকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়েই ঘটে ওই ঘটনা। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর ঝা ভিডিওর একঝলক পোস্ট করে লিখেছেন, 'এটি দিল্লি হাই কোর্ট!' 

 

সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লি হাই কোর্টের আইনজীবী কুমার দীপ রাজ লিখেছেন, 'উনি বিচারপতি নন। উনি একজন আইনজীবী। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের কোর্ট ছিল। তবে ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়নি।' ভার্চুয়াল শুনানির ঠিক আগেই আইনজীবীর অসতর্কতার কারণেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। 

 

প্রসঙ্গত, অতীতে ভার্চুয়াল শুনানিতে এই ধরনের অনুপযুক্ত আচরণ একাধিকবার দেখা গিয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে গুজরাট হাই কোর্টের এক ভার্চুয়াল শুনানির ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, এক ব্যক্তি কমোডে বসে মলত্যাগ করতে করতে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘটনাটি ফাঁস হতেই গুজরাট হাই কোর্ট ওই ব্যক্তিকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল এবং ১৫ দিন ধরে সমাজসেবা করার নির্দেশ দিয়েছিল।