আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভয়াবহ। আলোচনার নাম করে ডেকে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ এক প্রবীণ আইনজীবীর বিরুদ্ধে৷ ঘটনার জেরে ৫৫ বছর বয়সি এক আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে ইতিমধ্যেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা ঘিরে সম্প্রতি ব্যাপক শোরগোল।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ নভেম্বর এক যুবতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতার বয়স ৩৭ বছর। তাঁর অভিযোগ, আদালতে তাঁর আগে থেকেই একটি ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলা চলছিল। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জিতেন্দ্র নামে ওই ব্যক্তি। মামলাটি আপস করার জন্য (মিটমাট করার জন্য) জিতেন্দ্রই প্রস্তাব দেন, যা যুবতী মেনে নেন।
অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, গত ৬ নভেম্বর অভিযুক্ত জিতেন্দ্র তাঁকে আপসের কথা বলার জন্য ডেকেছিলেন তাঁর কেবিনে। এরপর নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে তিনি যুবতীকে নিজের গাড়িতে তোলেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে জোর করে মদ খাওয়ান। এরপরই জিতেন্দ্র তাঁকে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত আইনজীবীকে রবিবার গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই আরও এক নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। হবু স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। কিন্তু কিশোরী তাতে রাজি ছিল না। এদিকে ফাঁকা বাড়িতে যৌনতার শখ মাথায় চাপে যুবকের। স্ত্রীর মেজাজ দেখে রেগে লাল হয়ে যায়। অবশেষে কিশোরীকে ধর্ষণ করে, শ্বাসরোধ করে খুন করল সে। বিয়ের আগে হাড়হিম কাণ্ডে শিউরে উঠেছেন সকলে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালগড়ে। এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীকে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল ওই যুবক। এদিকে যৌনতায় লিপ্ত হতে অনিচ্ছুক ছিল ওই কিশোরী। এর জেরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। বিদালধার গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিল যুবক। এর কয়েক মাস আগেই কিশোরীর সঙ্গে যুবকের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। কাজের জন্য কিশোরীর বাবা, মা বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই নির্জনতার সুযোগেই অভিযুক্ত যুবক কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে আসে।
ফাঁকা বাড়িতে কিশোরীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় কিশোরী। এরপরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে কাছের একটি জঙ্গলে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। বাড়িতে ফিরেই মেয়ের নিথর শরীর দেখে আঁতকে ওঠেন বাবা, মা। দ্রুত থানায় অভিযোগ জানানো হয়। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান কিশোরীর মা। অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। অন্যদিকে কিশোরীর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
