আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরালায় সম্প্রতি ফের এক নৃশংস হত্যাকান্ড। এবার পথানমথিট্টা জেলার ভেচুচিরায় ঘটনাটি ঘটেছে। খবর অনুযায়ী এটি একটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড। পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়িকে খুন করেছেন জামাই। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত যুবক সুনীল (৩৯)। খবর অনুসারে, তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর স্ত্রী'র থেকে আলাদা বসবাস করছিলেন। স্ত্রী ও শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনা ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্যে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনার দিন অর্থাৎ বুধবার দুপুরের দিকে সুনীল তাঁর শ্বশুড়বাড়ি যান। উষামণি (৫৪) অর্থাৎ তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে। জানা গিয়েছে, সুনীল তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে শাশুড়িকেই দায়ী করতেন। সুনীল মনে করতেন উষামণিই তাঁর সংসার ভাঙার মূল কারণ। ঘটনার দিন আনুমানিক দুপুর ৩ টে নাগাদ উষামণির সঙ্গে তাঁর আচমকা কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, দু'জনার মধ্যে তর্কের একপর্যায়ে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। এরপর উত্তেজিত হয়ে সুনীল ঘরের ভেতর থাকা একটি কোদাল (spade) দিয়ে উষামণির মাথায় সজোরে আঘাত করেন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে উষামণি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে চেঁচামেচিতে ঝামেলার আভাস পান স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। পরে ভেচুচিরা থানার একটি দল এসে সুনীলকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুনঃ গায়ে হাতে পায়ে কয়েক কেজির লোহার শিকল বেঁধে ২৭ ঘন্টা হেঁটে অনন্য নজির যুবকের, ভক্তরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ
পুলিশ জানিয়েছে, সুনীলকে জেরা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেননি। পুরো ঘটনার পেছনে পারিবারিক সম্পর্ক, মানসিক চাপ ও দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব বড় কারণ বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে তদন্তকারী দল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, উষামণি খুবই শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। পরিবারে মাঝেমধ্যে ঝামেলা থাকলেও এমন পরিণতির কথা কেউ ভাবতেও পারেনি। পুলিশ বর্তমানে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মামলার পুঙ্খানুপুঙ্ তদন্ত করছে। এই হত্যাকাণ্ড এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পরিবারজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
চলতি বছরের জুলাই মাসে কেরালায় আরেক নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটেছে৷ ২৮ বছরের এক যুবতীকে তাঁর বাবা খুন করেছে বলে অভিযোগ। গভীর রাতে বাইরে বেরোনোর বিরোধের জেরে খুন করে অভিযুক্ত বাবা। কেরালার আলাপ্পুঝা জেলার মারারিকুলাম দক্ষিণের ওমানাপুঝা গ্রামে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। পারিবারিক সহিংসতা এর মূল কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ কেরালার যুবতীর এই পরিণতি দেখে গোটা দেশ চমকে উঠেছিল৷
জানা গিয়েছে, জেসমিন রাতে বাইরে বেরোতেন যা তাঁর বাবা পছন্দ করতেন না। স্থানীয়রাও ফ্রান্সিসের গোঁড়ামি পছন্দ করতেন না৷ ফ্রান্সিসের প্রতি তাঁদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে ফ্রান্সিস উত্তেজিত ছিল। এক রাতে জেসমিন বাইরে বেরোন। কিন্তু ফিরে আসার পরই শুরু হয় তুমুল অশান্তি। শারীরিক সংঘর্ষে রূপ নেয় অশান্তি। ফ্রান্সিস প্রথমে রাগের বশে তাঁকে শ্বাসরোধ করে, পরে পরিবারের সদস্যদের বাইরে পাঠিয়ে দড়ি গলায় আঁটকে শেষ করে যুবতীকে।
