আজকাল ওয়েবডেস্ক:  ২০২৫ সালে ভারতের বিভিন্ন সময়ে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যায় সামান্য বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। যদিও দেশজুড়ে কোনও বড় ধরনের আক্রান্তের সংখ্যার বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেনি। সাম্প্রতিক বৃদ্ধিগুলি ছিল সীমিত ও স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ। যা অতিমারির শুরুর তুলনায় কিছুই নয়।

২০২৫ সালের প্রথমার্ধে, বিশেষ করে মে থেকে জুন মাসের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যায় ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়েছিল। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ২৫৭ ছিল। মে মাসের শেষে তা এক হাজার ছাড়িয়ে যায়। তারপর জুনের শুরুতে তা প্রায় চার হাজারে পৌঁছে যায়। জুনের মাঝামাঝি সময়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সাত হাজারেরও বেশি হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্টের শনাক্তকরণের সময় আক্রান্তের সংখ্যায় এই বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

ভারতে শনাক্ত হওয়া নতুন সাবভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে জেএন.১, এনবি. ১.৮.১, এলএফ.৭ এবং এক্সএফজি। জেএন.১ পুরো ২০২৫ সাল জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটি ওমিক্রনের অন্যতম পরিচিত সাবভ্যারিয়েন্ট। এনবি.১.৮.১ এবং এলএফ.৭ তামিলনাড়ু ও গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতে অল্প সংখ্যায় শনাক্ত হয়েছে। এক্সএফজি বেশ কয়েকটি রাজ্যে শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিছে। এই সমস্ত সাবভ্যারিয়েন্ট গুলিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং’ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। কোনওটিকেই ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ বা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়নি।

জেএন.১, এনবি. ১.৮.১, এলএফ.৭ এবং এক্সএফজি ভ্যারিয়েন্টগুলোর লক্ষণ আগের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতোই। এর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি এবং ক্লান্তির মতো হালকা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগের তীব্রতা ছিল অল্প। যে সকল মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেগুলি মূলত বয়স্ক বা স্বাস্থ্যগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের মধ্যেই ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। সুস্থ জনগোষ্ঠীর মধ্যে গুরুতর রোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোভিড-১৯ টিকা এবং পূর্বের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গুরুতর অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে সুরক্ষা দিয়ে চলেছে।

বছরের মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণের বৃদ্ধির সময়, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল। ২০২৫ সালের শেষের দিকে ভারতে কোভিড-১৯-এর কোনও বড় ঢেউ চলছে না, তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জিনোমিক এবং অতিমারি সংক্রান্ত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ সংখ্যার তুলনায় ভারতে সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারত-সহ বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট গুলির উপর নজর রাখছে।