আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্রেন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমাতে এবার লোকো পাইলটদের পারিবারিক জীবনেও নজর দিতে শুরু করল ভারতীয় রেল। শনিবার নিউ কোচবিহার রেলস্টেশনে আয়োজিত এক বিশেষ কাউন্সেলিং শিবিরে রেল আধিকারিকরা লোকো পাইলটদের স্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন—“বাড়ির অশান্তি যেন স্বামীর কাজে প্রভাব না ফেলে।”

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (DRM) অমরজিৎ গৌতম সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। মূলত লোকো পাইলট ও সহকারী লোকো পাইলটদের মানসিক চাপ কমিয়ে আরও নিরাপদ ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতেই এই কর্মসূচির আয়োজন।

পারিবারিক সমস্যা ট্রেন দুর্ঘটনার পরোক্ষ কারণ?
রেল সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক কিছু দুর্ঘটনা পর্যালোচনার পর রেল দপ্তর বুঝতে পারে যে লোকো পাইলটদের ব্যক্তিগত মানসিক চাপ, বিশেষত পারিবারিক অশান্তি, অনেক সময়েই কাজে মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটায়। এই কারণেই তাঁদের স্ত্রীদের উদ্দেশে বিশেষভাবে বোঝানো হয় যে স্বামীর প্রতি সহানুভূতিশীল ও বোঝাপড়ার সম্পর্ক বজায় রাখলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

ভিডিয়ো মাধ্যমে তুলে ধরা হয় উদাহরণ
কাউন্সেলিং সেশনে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরা হয় দুটি চিত্র—যেখানে একদিকে পারিবারিক অশান্তির কারণে মনঃসংযোগ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে, অন্যদিকে বোঝাপড়া মজবুত থাকলে লোকো পাইলট কীভাবে দক্ষতার সঙ্গে ট্রেন চালাতে সক্ষম হন।

শুধু পরামর্শই নয়, অভিযোগ শোনারও উদ্যোগ
এই কর্মসূচিতে শুধুমাত্র মনোবিদের পরামর্শ নয়, লোকো পাইলটদের নানা দাবি-অভিযোগও শোনা হয়। অনেকেই অতিরিক্ত ডিউটি, কোয়ার্টারের অভাব ও চিকিৎসা পরিষেবার দুর্বলতা নিয়ে সরব হন। DRM গৌতম জানান, “আমরা ধাপে ধাপে সমস্যাগুলি সমাধানের দিকে এগোচ্ছি। তবে ট্রেন চালানো একটি অত্যন্ত গুরুতর ও মনঃসংযোগ-নির্ভর কাজ। সেইজন্য আমরা চাই, পাইলটরা যেন ঘর থেকে শান্ত মন নিয়ে কাজের জায়গায় আসেন।”