আজকাল ওয়েবডেস্ক: এযেন একেবারে সিনেমার গল্প। তাজমহল বিক্রি হয়ে গেল আর কেউ সেটা টের পেলেন না। তাজমহল কিনে নিয়ে সকলের নজর কাড়লেন এক ব্যক্তি।


ভারত মানেই ইতিহাসের দেশ। এখানে যুগ যুগ ধরে বহু বিদেশীরা এসে রাজত্ব করে গিয়েছে। এদেশে তারা নিজেদের স্থাপত্যের নিদর্শন রেখে গিয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও তাদের তৈরি করা এই শিল্প যুগ যুগ ধরে মানুষ দেখেছে। সেগুলি বর্তমান সময়ের ভ্রমণের স্থান হিসেবে সামনে এসেছে। 


এমনই একটি স্থান হল তাজমহল। যেটি রয়েছে আগ্রায়। এবার এই তাজমহল নিয়েই হল সমস্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। নিজেকে মোগল সাম্রাজ্যের বংশধর হিসেবে দাবি করলেন প্রিন্স ইয়াকুব হাবেবুদ্দিন। তিনি দাবি করলেন যেহেতু তিনি মোগল সম্রাটের বংশধর তাই তিনি এবার নিজের দাবি পেশ করলেন। নিজেকে তিনি বাহাদুর শাহের ষষ্ঠ বংশধর হিসেবে দাবি করেন। তিনি ঔরঙ্গজেব, শাহজাহান, আকবরের বংশের মানুষ বলে দাবি করেছেন। তাজমহল এবার তাঁর সম্পত্তি বলেই দাবি করলেন তিনি।

 


এই প্রিন্স বর্তমানে হায়দরাবাদে রয়েছেন। সেখানেই তিনি থাকেন। তাঁর প্রধান কাজই হল ঔরঙ্গদেবের সমাধিকে রক্ষা করা। সেই কাজটি তিনি করেছে চলেছেন। এই প্রিন্স দাবি করেছেন যেহেতু তিনি মোগল বংশধর তাই তিনি হলেন তাজমহলের মালিক। এই তাজমহল তৈরি করেছিলেন শাহজাহান তার প্রিয় স্ত্রী মমতাজের জন্য। এরপরই তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক। তিনি যে মোগল বংশধর সেটি প্রমাণ করার জন্য নিজের ডিএনএ রিপোর্টও রেখেছেন হায়দরাবাদ কোর্টে। এখানেই শেষ নয়, রাম মন্দির নিয়েও এই প্রিন্স আরেক দাবি করেছেন। সেখানে তাঁর দাবি এই জমিরও মালিকানা তাঁরই কাছে রয়েছে। তবে এই জমি তিনি ছেড়ে দিয়েছেন।  

 


প্রিন্স ইয়াকুবের থাকা খাওয়া ইতিমধ্যে সকলকে প্রভাবিত করেছে। তিনি একেবারে যেন মহারাজের মতোই থাকেন। তার ফ্যাশন সকলের চোখ টেনেছে। নিজেকে যেমন মোগল বংশধর হিসেবে মনে করেন ঠিক তেমনভাবেই তিনি থাকেন। এবিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দেহে শাহী রক্ত রয়েছে তাই তিনি এমনভাবে থাকেন। এই প্রিন্সের অনলাইন প্রোফাইলও অনেকের নজর কেড়েছে। তবে সত্যি কী তিনি মোগল বংশধর। উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকেই।