আজকাল ওয়েবডেস্ক: খবরের শিরোনামে ফের ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। এবার সিন্ধু জল চুক্তি। সেই চুক্তির সংস্কার চেয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ পাঠিয়েছে ভারত। সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে,  ভারত সরকারের তরফে চুক্তিতে পরিবর্তন চেয়েই এই নোটিশ।

 

 

এই সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি প্রায় ৬২ বছরের পুরোনো। ১৯৬০ সালে প্রথম এই চুক্তি করা হয়েছিল দুই দেশে। ভৌগোলিকভাবে যে নদীগুলি ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে, সেই নদীগুলির ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। কিন্তু, সেই সমস্যা মেটানোর বদলে বরাবরই এক রোখা মনোভাব দেখিয়েছে পাকিস্তান। সেই কারণেই ভারতের তরফে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

 

 

সিন্ধু জল চুক্তি কী?

১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় এই চুক্তি।  সিন্ধু জল চুক্তি অনুসারে, দেশের "পূর্বদিকের নদীগুলির সমস্ত জল প্রায় ৩৩ এমএফএম পর্যন্ত অবাধ ব্যবহারের জন্য ভারতকে বরাদ্দ করা হয়। অন্যদিকে, সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব নামে পশ্চিমের নদীগুলির বেশিরভাগ জল,  এর পরিমাণ বার্ষিক প্রায় ১৩৫ এমএফএম  পাকিস্তানকে বরাদ্ধ করা হয়েছে। চুক্তিটির মাধ্যমে ভারতকে পশ্চিমের নদীগুলিতে রান-অফ-দ্য-রিভার প্রকল্পের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছেএসব নদীতে ভারতীয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নকশা নিয়ে আপত্তি তোলার অধিকার পাকিস্তানেরও আছে। সমস্যা এখানেই। এই চুক্তির অধীনে, পাকিস্তান সিন্ধু নিকাশি ব্যবস্থায় মোটামুটি ৪০ শতাংশ জল পেয়েছিল, ভারতের ক্ষেত্রে সেটা ৬০ শতাংশ। বর্তমানে, ভারত তার সিন্ধু জলের বরাদ্দকৃত অংশের ৯০ শতাংশের কিছু বেশি ব্যবহার করে।

 

 

সে সময় প্রায় ন'বছর ধরে লাগাতার আলোচনার পর ১৯৬০ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় সেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে উপস্থিত ছিল বিশ্ব ব্যাংক তারাও এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল কিন্তু কয়েক বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে। তলানিতে এসে ঠেকেছে ভারত পাকিস্তান সম্পর্ক। তার জেরেই এই চুক্তি সংস্কার করার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি।