আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের অজনা গ্রামের এক পানশালায় শুক্রবার দুপুরে এক ব্যতিক্রমী ও উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটে। তীব্র দাবদাহ ও ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেই এক পূর্ণবয়স্ক হনুমান আশ্রয় নেয় পানশালার ছায়ায় এবং পরে তাকে ঠান্ডা বিয়ার পান করতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিবেশপ্রেমী ও প্রাণী কল্যাণকর্মীরা এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। কে বা কারা তাকে বিয়ার দিল!

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, হনুমানটি স্পষ্টতই অসুস্থ ও ক্লান্ত অবস্থায় ছিল। প্রথমে দোকানের বারান্দায় বসে পড়ে, পরে ঠান্ডা জল ও  পানীয়ের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। দোকানদার প্রথমে ভয় পেলেও, পরে তার শারীরিক দুর্বলতা দেখে জল ও ঠান্ডা কোমল পানীয় দেন। স্থানীয় বাসিন্দা মেহবুব আলি জানান, “এতটা গরমে পশুরাও বাঁচার জায়গা খুঁজছে। ও তো গলা শুকিয়ে এসেছিল, কারও ক্ষতি করতে আসেনি।”

গ্রামবাসীরা খবর দিলে বনদপ্তরের কর্মীরা প্রায় দু’ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কিন্তু অভিযোগ, তাঁরা কোনও চিকিৎসা বা উদ্ধার ছাড়াই হনুমানটিকে রেখে ফিরে যান। এই দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবহারে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক তৎপরতা ও বনদপ্তরের প্রস্তুতি নিয়ে। বিশেষ করে এমন সময়, যখন পশ্চিম ভারতজুড়ে অস্বাভাবিক গরমে বনজ ও বন্য প্রাণীর সংকট বাড়ছে।

পরিবেশবিদদের মতে, এ ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বহিঃপ্রকাশ। প্রাণীরা চরম তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে, যা ভবিষ্যতে মানুষ-পশু সংঘাতের আশঙ্কা বাড়াতে পারে।এলাকার বিডিও অমরনাথ সিং বলেন, “এটি একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। বনদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তীবার যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই দিকটি আমরা দেখছি।”

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হনুমানটি এখনও গ্রামে ঘোরাফেরা করছে। গ্রামবাসীরা তাকে ফল ও জল দিচ্ছেন, তবে বনদপ্তরের তরফে এখনও চিকিৎসার কোনও আশ্বাস মেলেনি।