আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রথমে কাকিমার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। দশ বছর পর কাকিমার মেয়েকে, অর্থাৎ তুতো বোনকেই ধর্ষণ করে খুন! যুবকের কীর্তিতে শোরগোল যোগীরাজ্যে। তদন্তে নেমে চোখ ছানাবড়া পুলিশেরও। ইতিমধ্যেই ৩৩ বছরের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে জোরকদমে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দশ বছর আগে নিজের কাকিমার সঙ্গেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল যুবকের। একাধিকবার তাঁদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তারপর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়। তার সত্ত্বেও কাকিমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙেনি ওই যুবক। এরপরই পরিবারের তরফে দুজনের যোগাযোগ বন্ধ করার পরিকল্পনা করা হয়।
অভিযুক্ত যুবকের অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার। তখন থেকেই কাকিমার সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। পুলিশকে যুবক জানিয়েছে, তার কাকার শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ২০১৫ সালে ঘটনার সূত্রপাত। তখন তার ২৩ বছর বয়স। কাজের জন্য বাড়িতে ডেকেছিলেন কাকিমা। সেদিনই দুজনে উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত হন। টানা দু'বছর শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন তাঁরা।
হঠাৎ কাকিমার সঙ্গে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন কাকা। এরপর দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। যুবকের বিয়ের পর দুই পরিবারের মধ্যে এই বিষয়ে কথাও বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনার দশ বছর পর কাকিমার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এই যুবকের বিরুদ্ধে। মৃত কিশোরীর নখে চুল পাওয়া গিয়েছে। সেই চুলের নমুনা ও যুবকের চুল সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাখির দিন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশে। তুতো বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে দাদার বিরুদ্ধে। সকালে রাখি পরানোর পর, সেই রাতেই দাদার যৌন লালসার শিকার হয় ওই কিশোরী। সেই সময়েই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, রাখি পরানোর ঠিক পরেই ১৪ বছরের তুতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার দাদার বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর তুতো বোনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ৩৩ বছর বয়সি যুবক। এরপর দেহটি ঝুলিয়ে দেয়। যা দেখলে মনে হবে, কিশোরী হয়তো আত্মহত্যা করেছে।
পরেরদিন বাড়ি ফিরেই যুবক দেখে, পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রথমে পুলিশকে ভুলো তথ্য দিয়ে বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করছিল সে। বাড়ির কাউকেই পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছিল না সে। বরং সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সে একাই দিচ্ছিল। কিন্তু তার অসংগতিপূর্ণ কথা শুনেই পুলিশের সন্দেহ বাড়ে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, শনিবার সকালে কাকার বাড়িতে এসেছিল যুবক। সেদিন সকালে দাদাকে রাখি পরায় তুতো বোন। সেদিন রাতেই চূড়ান্ত মদ্যপান করে অভিযুক্ত যুবক। এরপর বাড়ি ফিরে তুতো বোনের ঘরে চুপিচুপি ঢুকে পড়ে। সেই সময় কিশোরী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। ঘরের মধ্যে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। সেখানেই তুতো বোনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে, দেহটি ঝুলিয়ে দেয়।
পাশের ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন কিশোরীর বাবা। রাতে তাঁরা কেউই কোনও শব্দ শুনতে পাননি। এমনকী কিশোরীর চিৎকারের শব্দ পৌঁছয়নি কোনও ঘরে। সকালে ঘুম ভাঙার পর ঝুলন্ত দেহটি সকলের চোখে পড়ে। তড়িঘড়ি করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেই পুলিশ শিউরে ওঠে। প্রথমবার দেখেই তারা নিশ্চিত ছিল, এটি নিছক আত্মহত্যার ঘটনা নয়। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছিল তারা। এরপর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এরপরই তার দাদাকে সন্দেহের বশে জেরা শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরায় অপরাধের ঘটনাটি সে স্বীকার করে নিয়েছে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত যুবক।
