আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের অন্যতম প্রধান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইআইটি। সম্প্রতি আইআইটি বিএইচইউ-তে (IIT-BHU) এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রথম বর্ষের এমটেক ছাত্র অনুপ সিংহকে (৩১) রহস্যজনক অবস্থায় মৃত পাওয়া গিয়েছে। খবর অনুযায়ী মৃত ছাত্র উত্তর প্রদেশের আজমগড় জেলার বাসিন্দা। অনুপ মাত্র দুই মাস আগে আইআইটি-বিএইচইউ-তে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর এহেন পরিণতিতে চমকে উঠেছে দেশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সকালে তাঁদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ছিল। এর আগে অনুপের রুমমেট এবং অন্যান্য বন্ধুরা তাঁকে ঘুম থেকে তুলতে গেলে দেখে তিনি কোনও সাড়া দিচ্ছেন না। বিষয়টি দ্রুত জানানো হলে তাঁকে পিসি রে হোস্টেল থেকে অচেতন অবস্থায় ক্যাম্পাসের মেডিক্যাল ফ্যাসিলিটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এসএসএল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই অনুপের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। ঘটনার জেরে আইআইটি-বিএইচইউ-র চিফ প্রোক্টর ড. সঞ্জয় সিং জানান, হোস্টেলের ছাত্রদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ সোজা শোভাযাত্রায় এসে ধাক্কা! বেপরোয়া গাড়ি পিষে দিল তিনজনকে, মদ্যপ চালককে ঘিরে আলোড়ন 

অনুপের রুমমেট এবং অন্যান্য বন্ধুরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা হোস্টেল মেসে রাতের খাবার খেয়ে নিজেদের রুমে ফিরে আসেন। খবর অনুযায়ী অনুপ ও তাঁর দুই বন্ধু ওই রাতে প্রায় রাত ৩টা পর্যন্ত একসঙ্গে পড়াশোনা করেন। এরপর তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন।

আরও পড়ুনঃ অবিশ্বাস্য! মধ্যপ্রদেশে তৃতীয় লিঙ্গ 'ধরতে' রাস্তায় ছুটল পুলিশ, ভাইরাল ভিডিও...

প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পরদিন সকালে অনুপের সাড়া না পেয়ে প্রথমে তাঁকে সিপিআর (CPR) দেওয়া হয়। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে এসএসএল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে খবরটি পৌঁছানো হয় অনুপের বাবার কাছে। এমনকী তিনিও কোনও ধরনের অস্বাভাবিকতার অভিযোগ করেননি।

আরও পড়ুনঃ পিষে দিয়েই ক্ষান্ত হলেন না, পথ কুকুরকে রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেলেন বাইক আরোহী! বীভৎস ভিডিও দেখে আঁতকে

ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ অনুপের মৃতদেহ পরিবারের সদস্যের কাছে হস্তান্তর করে। তবে খবর পাওয়া গিয়েছে, এই ঘটনা হোস্টেলে এবং পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে এক ধরনের আতঙ্ক এবং শোকের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে' মাসে খড়দহের পাতুলিয়ায় মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। খবর অনুযায়ী ওই পড়ুয়া ভাল নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছিল। ফলে খুশি ছিল ওই পড়ুয়া ও তাঁর পরিবার। 

তবে পরদিন সকালে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়ে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে আম গাছের তলায়। কী এমন ঘটল যে কারণে পড়ুয়ার এই মর্মান্তিক পরিণতি তা খতিয়ে দেখে রহড়া থানার পুলিশ। পড়ুয়ার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এটি খুন নাকি আত্মহত্যা তাও খতিয়ে দেখা হয়। এলাকার মানুষ এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে। মৃত পড়ুয়ার পরিবারও বিদ্ধস্ত হয়ে পড়ে ঘটনায়। পরে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। 

পরিবারের দাবি, শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল। এমনকী তাঁদের দাবি, ফলপ্রকাশের পর সারাদিন আনন্দে কাটিয়েছে সে। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করেছিল। রাতে খাওয়া–দাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েছিল। তবে রাতে একটা ফোন আসার পর সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পরিবার। তারপর শনিবার বাড়ির সামনে আম গাছের তলায় উদ্ধার হয় ছেলের দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে শেষমেশ কোনও সুরাহা মেলেনি বলেই খবর৷