আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৪ বছরের তরুণী নাকি পালিয়ে গেছেন। দু'মাস আগে থানায় এমনটাই জানিয়েছিল তাঁর স্বামী। টানা দু'মাস নিখোঁজ থাকার পর, অবশেষে সেই শ্বশুরবাড়ির সামনের রাস্তা খুঁড়ে উদ্ধার হল তরুণীর পচাগলা দেহ। দেহটি তাঁর পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেছেন। স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে। পুলিশ জানিয়েছে, তানু সিং নামের ওই তরুণী উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। ২০২৩ সালে অরুণ সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। ফরিদাবাদের রোশন নগরে থাকতেন। শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির সামনে রাস্তা খুঁড়ে ১০ ফুট নীচে থেকে তানুর পচাগলা দেহ করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ এপ্রিল থানায় গিয়ে অরুণ জানিয়েছিল, তানু পালিয়ে গেছেন। তারপর থেকে তরুণীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। কিন্তু কোথাও তাঁর হদিশ পাওয়া যায়নি। এদিকে তানুর পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ ছিল, নিখোঁজ হওয়ার পিছনেও স্বামী, শ্বশুরের কোনও ভূমিকা আছে। পুলিশকে জানালে, তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু। অবশেষে থানায় পৌঁছে অরুণের বাবা স্বীকার করে, রানুকে শ্বশুরবাড়িতে খুন করে, বাড়ির সামনের রাস্তায় পুঁতে দিয়েছিল। ২১ এপ্রিল তানুকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। সে সময় অরুণ ও তাঁর মা উপস্থিত ছিল না।
তানুর বোন পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে সোনার গয়না ও টাকা নিয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি নির্মম অত্যাচার করত তাঁকে। পণ চেয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। কয়েক মাস পর ফিরোজাবাদে বাপের বাড়ি চলে যান তানু। সেখানে প্রায় একবছর ছিলেন। আবার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর নারকীয় অত্যাচার শুরু হয় তাঁর উপর।
স্থানীয় জানিয়েছেন, ঠিক দু'মাস আগেই ওই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল। হঠাৎ একদিন পরেই সিমেন্ট দিয়ে রাস্তার একটি জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সেটি অরুণ ও তার বাবা মিলে করেছিল। এরপর ২৫ এপ্রিল থানায় তানুর নিখোঁজ ডায়েরি করে। ওই পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তানুর পরিবার। তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
