আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বাসকুমার রমেশ। এই নামটি এখন সকলের মুখে মুখে ফিরছে। তার কারণ হল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান থেকে তিনি একমাত্র যাত্রী যিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। অসাধ্য সাধন হয়েছে। কল্পনার অতীতে গিয়ে তিনি সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে।


১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২৪২ জন মানুষ ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৪১ জনই প্রাণ হারিয়েছেন। তবে কীভাবে এই মিরাক্যাল হয়েছিল বিশ্বাসকুমারের সঙ্গে। 


কপালের ফের হোক বা ভাগ্যের সঙ্গ। বিশ্বাসকুমার যখন বিমান থেকে মাটিতে পড়ছিলেন তিনি দুটি বাড়ির মাঝের যে ফাঁকা অংশ থাকে সেখান দিয়েই তিনি পড়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, সেখানে বেশ খানিকটা মাটি রাখা ছিল যেটি নরম ছিল। ফলে আকাশ থেকে সেখানে পড়ে গিয়েও বিশ্বাসকুমারের তেমনভাবে ক্ষতি হয়নি। এভাবেই তার প্রাণ ফিরেছে।


১১এ আসনে বসা রমেশ জানিয়েছেন, বিমানটি ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মাঝ আকাশে আটকে যায়। রমেশ বলেন, বিমানটি ওড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবুজ ও সাদা আলো জ্বলে ওঠে৷  তবে বিমানটি আবাসিক এলাকার একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে আঘাত হানার আগে উচ্চতা বাড়াতে পারেনি৷ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রমেশের ভাইও রয়েছেন।

 

দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে রমেশকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রমেশ সেদিন বলেছিলেন, 'আমি যা প্রত্যক্ষ করেছি তা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছি। উনি আমার স্বাস্থ্যের খোঁজও নিয়েছিলেন,' বিছানা থেকে বললেন রমেশ। ‘আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছি না কীভাবে আমি সেখান থেকে জীবিত বেরিয়ে এলাম। এক মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিল আমিও মরতে যাচ্ছি। কিন্তু যখন চোখ খুলে চারপাশে তাকালাম, বুঝতে পারলাম আমি বেঁচে আছি। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি কীভাবে বেঁচে গিয়েছি।